পূর্ণিমা তিথিতে ঘরের মেয়ে ফিরে এল! হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন অরুণিতার কথা বলছি। ইন্ডিয়ান আইডলের ট্রফি হয়তো হাতছাড়া হয়েছে অরুণিতা কাঞ্জিলালের তবে লক্ষ লক্ষ মানুষের মন জয় করে নিয়েছে নিজের সুরে। তবে বাংলার মেয়ের দ্বিতীয় হওয়া নিয়ে কিছুটা হলেও মন খারাপ বাংলার। তবে নিজের দ্বিতীয় হওয়া দুঃখ নেই অরুণিতার। তবে অরুণিতার অনুরাগীর অনেকে মনে করেন এই মিউজিক রিয়ালিটি শো জেতার সবচেয়ে যোগ্য দাবিদার ছিলেন বনগাঁর এই মেয়ে।
তবে দ্বিতীয় হলেও ভালোবাসা কমেনি বঙ্গ তনয়ার প্রতি। দীর্ঘ ১০ মাস ধরে মুম্বাইয়ের ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন অরুণিতা। সবে সবে শেষ হয়েছে এই গানের গ্র্যান্ড ফিনালে। মুম্বইতে লম্বা এক সফর শেষ করে শনিবার চুপিচুপি নিজের শহরে ফিরেছেন অরুণিতা। আজ সারা ভারতবাসীর কাছে খুব স্পেশাল দিন। আজ রাখি পূর্ণিমা, আর এই বিশেষ দিনটা পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই মুম্বাইয়ের নতুন কাজ ছেড়ে চলে এলেন। এতদিন পর ঘরের মেয়ে আগমন হওয়াতে আনন্দে উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা বনগাঁ শহর।
মুম্বাই থেকে বাড়িতে ফিরতে এখনো ঘুমানোর ফুরসতটুকু পাইনি এখনো গায়িকা। তবে ক্লান্তির ছাপ নেই অরুণিতার চোখেমুখে এখন। বরং এই গায়িকার চোখে লেগে আছে বাড়ির কাছের মানুষের কাছে ফেরার শান্তি। অরুণিতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘ঘুমোনোর সময় অনেক পাবো, ১০ মাস পরিবারের থেকে দূরে ছিলাম, এখন সব সময়টুকু ওদের সঙ্গে কাটাতে চাই। আজকের দিনটা দাদাদের সঙ্গে সেলিব্রেট করতে চাই। বাড়ির মতো অনুভূতি অন্য কিছু হতে পারে না। কাল থেকে সব লোকজন আসছেন, আর্শীবাদ করছেন। এটাই খুব ভালো লাগছে’।
এই বিশেষ দিনে দাদা, অণীশের হাতে রাখি পড়িয়েছেন অরুণিতা, পাশাপাশি অন্যান দাদাও বোনকে রাখি পরিয়েছেন। তবে এই দিন দাদাদের থেকে কি উপহার হিসাবে পেলেন? হাসি মুখে অরুণিতা জানান, তাঁর দাদা তাঁকে চকোলেট দিয়েছেন আরো অনেক উপহার আছে। তবে এইসব উপহার একদম জরুরি নয় তাঁর কাছে। বরং তাঁর কাছে দাদা পাশে থাকাটাই জরুরি’। জমিয়ে আজ বাড়িতে মায়ের হাতের নানান রান্নার পদ ও হয়েছে। এই দিনটি সব কাজ ভুলে জমিয়ে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতে চান আর বিকেলে নিজের শহর ঘুরতে চান।এদিন তুতো দাদারাও আসবেন অরুণিতার বাড়িতে।
ইন্ডিয়ান আইডলের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে গায়িকা জানান, ‘এতো বড় বড় শিল্পীরা এই শো-তে এসেছে, যা তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। তিনি ভাবেননি তাঁদের সামনে তিনি গান গাইতে পারবেন। এ আর রহমান স্যার যখন এই শোতে এসেছিলেন, তখন তো গোটা শো জুড়ে নিস্তব্ধতা ছিল। আশাজি তো তাঁর কাছে বিরাট বড় আইডল। তাঁর মুখ থেকে নিজের সম্পর্কে একটা শব্দ শোনাও অরুণিতার কাছে অনেক, অরুণিতা বলেছেন, তাঁকে কেউ রুখতে পারবে না। এটা শোনাই এক গায়িকা হয়ে বড় পাওনা।