Digital Payment: নো ইন্টারনেট! অফলাইনে করা যাবে ডিজিটাল পেমেন্ট,জানুন বিস্তারিত
অনলাইন লেনদেনের চাহিদাটা এই কয়েকবছরে কম বেশী সকলের মধ্যেই বেড়েছে। আর দু বছর থেকে কোভিড পরিস্থিতে এই অনলাইন লেনদেন পরিষেবা যে বেড়ে গিয়েছে তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। এতদিন বিভিন্ন অনলাইন লেনদেনের সাইটগুলির ইউএসপিছিল, পুরোপুরি বিনামূল্যে ফ্রি পরিষেবা প্রদান করতেন। বাড়িতে বসে অনলাইন শপিং এর ক্ষেত্রে আমরা ক্যাস অন ডেলিভারির থেকে পেটিএম, ফোনপে ইত্যাদি ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে অনায়াসেই শপিং করতাম। এমনকি করোনার জন্য বাড়ির বাইরে না গিয়ে খুব সহজেই বাড়িতে বসে ইলেকট্রিসিটি কিংবা ফোনের বিল মেটানো যেত।
এর মধ্যে নতুন বছরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) সম্প্রতি এই ডিজিটাল পেমেন্টের জন্য একটি নতুন পরিষেবা শুরু করতে চলেছে। আমাদেএ পেমেন্টের জন্য এতদিন ইন্টারনেটের প্রয়োজন হত। তবে এবার ইন্টারনেট ছাড়াই ডিজিটাল পেমেন্ট করা যাবে। হ্যাঁ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিয়ে এল নতুন পরিকল্পনা। অবশ্য এই লেনদেনের জন্য ২০০ টাকা পর্যন্ত সীমা নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ, এখন ২০০ টাকা পর্যন্ত ডিজিটাল পেমেন্টের জন্য আপনার আর ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে না।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অফলাইনে টাকা পেমেন্টের সিদ্ধান্ত ট্রায়ালের পর অনুমোদন করা হয়েছে। এই ধরনের পেমেন্ট অবশ্য বাড়িতে বসে নয় বরং সামনাসামনিই করা যাবে। অফলাইন মোডে ছোট ডিজিটাল লেনদেনের জন্য, RBI সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে জুলাই ২০২১ পর্যন্ত ট্রায়াল চালানো হয়। এর পরে, ৬ অগাস্ট, আরবিআই এই নতুন পরিষেবার অনুমোদন দিয়েছিল। আর এর জন্য
ইন্টারনেটের প্রয়োজন নেই।
আরবিআইয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অথরাইজড পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর এবং পেমেন্ট সিস্টেম পার্টিসিপ্যান্টকে এই ধরনের অফলাইন ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণ করার জন্য এই নতুন নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে৷ পাশাপাশি আরবিআই আরো জানিয়েছে, এই পদ্ধতিতে এক সময়ে অফলাইনে সর্বাধিক ২,০০০ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট করা সম্ভব হবে। সীমা শেষ হওয়ার পরে, গ্রাহক চাইলে এই টাকার লেনদেন অনলাইন মোড ব্যবহার করে সীমা আরো বাড়াতে হবে, তারপর ফের পেমেন্ট করা যাবে। ২,০০০ টাকা সীমা পর্যন্ত সর্বাধিক ২০০ টাকা করে পেমেন্ট করা যাবে। ২,০০০ টাকা শেষ হলে অনলাইন মেথোডে ২,০০০ টাকা দিয়ে আবার ইন্টরনেট ছাড়া ডিজিটাল পেমেন্ট করা যেতে পারে।
গ্রামীণ এলাকায় এই ডিজিটাল লেনদেন বেশ বাড়বে বলা যেতে পারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপের ফলে গ্রামীণ এলাকায় ডিজিটাল পেমেন্টের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ আজও, গ্রামাঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে স্মার্টফোন নেই। এ ছাড়া এমন অনেক এলাকা রয়েছে, যেখানে ইন্টারনেটের বিপুল সমস্যা রয়েছে। এখন এমন পরিস্থিতিতেও এইরকম ডিজিটাল পেমেন্ট করা সম্ভব হবে।