কলকাতা : প্রতিবছরই ভারী বৃষ্টির ফলে শহরের পুরনো বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা কোনো নতুন বিষয় নয়। তবে এবার শহরের এক বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হলো এক বৃদ্ধার। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এখনো এমন অনেক বিপজ্জনক বাড়িই রয়েছে। কিন্তু প্রতি বছর বর্ষাকাল এলে বাড়ির দেয়াল নরম হয়ে যাওয়ার কারণে দেওয়াল ভেঙে নানা দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে। গত সপ্তাহ থেকে কলকাতায় লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে বেশ কিছু এলাকা। ভেঙে পড়েছে বেশ কিছু গাছও।
বৃহস্পতিবার ভোরে পৌনে ছটা নাগাদ ৫৫ এফ বেলেঘাটা মেইন রোডের একটি বাড়ির সামনের দিক হঠাতই ভেঙে পড়ে । জানা গিয়েছে এই বাড়িটি ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো বাড়ি। ওই বাড়ির সামনের অংশে থাকতেন রাজেশ সাহা ,তার মা প্রতিমা সাহা এবং তার ছেলে ছেলে ঋষভ সাহা। এদিনের এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন রাজেশ।
কিন্তু কাজের সূত্রে রাজেশ বাবুর স্ত্রী তার বাপের বাড়িতে থাকার কারনে তিনি এই ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান। আর এই ঘটনায় দেয়াল ভেঙে চাপা পড়ে মারা যান রাজেশের মা প্রতিমা দেবী। এই দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দমকল এবং বেলেঘাটা থানার পুলিশ। এরপর রাজেশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে সকাল পৌনে নটা নাগাদ প্রতিমা দেবীর মৃতদেহ ভেতর থেকে উদ্ধার করে আনা হয়।
এই বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে কোনো মেরামতি কাজ করেনি কেউই। এর আগে এই বাড়িতে যারা থাকতেন, তারাও কোনোরকম উদ্যোগ নিয়ে কাজ না করায় এই বাড়িটির অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করে। শোনা গেছে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার কারণে কলকাতা কর্পোরেশনও এই বাড়িটিকে ভাঙ্গা বা পুনর্নির্মাণের কাজ করতে পারেনি। আর এইভাবে দিনের পর দিন ভাঙ্গা বাড়ি ফেলে রাখার কারণে প্রাণ গেলো এক বৃদ্ধ মহিলার।