টলিউডবিনোদন

ওম-মিমির পাঁচতারা বিয়ে, মুখরোচক মেনুতে জমজমাট হল বিয়েবাড়ি

Advertisement

অবশেষে বৈদিক মতে ‘ভার্দে ভিস্তা’ ব্যাঙ্কোয়েটে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন অভিনেত্রী মিমি দত্ত (Mimi Dutta) এবং অভিনেতা ওম সাহানী (om sahani)। ধীরে ধীরে ছক ভেঙে বেরিয়ে আসছেন মেয়েরা। মিমিও তার ব্যতিক্রম নন। গত বছর অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায় (Gaurav chatterjee) ও অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার ( Devlina kumar)-এর বিয়েতে হয়নি কন্যাসম্প্রদান। এবার একই পথ হাঁটলেন ওম ও মিমি। তাঁদের বিয়েতেও হল না মিমির কন্যাদান। মিমির সিঁথিতে ওম সিঁদুর পরিয়ে দেওয়ার পর মিমি ওমের কপালে পরিয়ে দিলেন একই সিঁদুরের টীকা। সবচেয়ে বড় চমক ছিল বিয়ের পুরোহিতের ক্ষেত্রে। ওম-মিমির বিয়ের অনুষ্ঠানের পৌরহিত‍্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিক (Nandini Bhowmick)। ঋতাভরী চক্রবর্তী( Ritabhari chakraborty) অভিনীত বিখ্যাত বাংলা ফিল্ম ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’র গল্প নন্দিনীর জীবনের উপর আধারিত। বিয়ের দিন মিমির পরনে ছিল লাল রঙের সাবেক বেনারসী ও মানানসই সোনার গয়না। মাথায় ছিল শোলার মুকুট। ওম পরেছিলেন অফহোয়াইট রঙের পাঞ্জাবী ও একই রঙের চোস্ত। তবে বিয়ের সময় বাঙালি রীতি মেনে ওম পরেছিলে সাদা ধুতি, উত্তরীয় এবং মাথায় টোপর। ওম ও মিমির বিয়েতে হাজির ছিলেন টলিউডের ‘দিদি নং 1′ রচনা ব্যানার্জি( Rachana Banerjee)। এছাড়াও ওম-মিমির বিয়েতে এসেছিলেন দেবযানী চ্যাটার্জি(Debjani chatterjee), চুমকি চৌধুরী (Chumki chowdhury), সুভদ্রা চক্রবর্তী (Subhadra chakraborty) প্রমুখ।

অপরদিকে বিয়ের দিন সকাল থেকেই উপস্থিত ছিলেন মিমির ঘনিষ্ঠ বন্ধু অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা (Shayantani Guhathakurta) ও দেবপর্ণা চক্রবর্তী (Devparna chakraborty)। সায়ন্তনীর পরনে ছিল লাল শাড়ি ও কনট্রাস্ট নীল ব্লাউজ এবং মানানসই গয়না। দেবপর্ণা পরেছিলেন লাল রঙের বেনারসি এবং লাল ডিজাইনার ব্লাউজ। একটু রাতের দিকে বিয়েবাড়িতে আসেন অভিনেত্রী মানালি দে( Manali dey) ও তাঁর স্বামী পরিচালক অভিমন্যু মুখার্জী( Abhimanyu mukherjee)। মানালি ও অভিমন্যুর পরনে ছিল একই রঙের পোশাক। মানালির পরনে ছিল খয়েরি রঙের শাড়ি ও ডিজাইনার ব্লাউজ। অভিমন্যুর পরনে ছিল খয়েরি রঙের ব্লেজার ও নীল ডেনিম। বিয়ের শেষ পর্বে এসেছিলেন পরিচালক জুটি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shibprashad mukherjee) ও নন্দিতা রায় (Nandita Roy)। শিবপ্রসাদ পরেছিলেন কালো রঙের শার্ট ও ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট চেকড ব্লেজার। নন্দিতার পরনে ছিল কালো ও লাল রঙের কম্বিনেশনের শাড়ি ও ডিজাইনার ব্লাউজ।

এদিন বিয়েবাড়ি জুড়ে ছিল রবীন্দ্রসঙ্গীতের আবহ। তবে সবচেয়ে মুখরোচক ছিল বিয়েবাড়ির খাওয়া-দাওয়া পর্ব। সেলফি তোলা ও গসিপ করার ফাঁকে অতিথিদের হাতে হাতে পৌঁছে গিয়েছিল ক্রিসপি চিলি পনির, ফিশ ওরলি, মালাই টিক্কা কাবাব, চিলি প্রণ, ফিশ বাটার ফ্রাইয়ের স্টার্টার স্পেশ‍্যাল প্লেট। তার সঙ্গেই ছিল ফ্রুট পাঞ্চ ড্রিঙ্কের বন্দোবস্ত। মেন কোর্সে ছিল বাটার নান, মশালা কুলচা, ভেজ জয়পুরি, ডাল মাখানি। এছাড়াও ছিল সাদা দেরাদুন রাইসের ভাত, পিস পোলাও, গ্রিলড ফিশ ইন লেমন বাটার সস, মাটন রারার। শেষপাতে ছিল মিক্সড ফ্রুট চাটনি ও রোস্টেড পাঁপড়। ডেজার্টে ছিল চকোলেট মন্টে কার্লো ও বেকড রসগোল্লা।

2021 শুরু হওয়ার প্রথম দিনেই ওম এবং মিমি রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন নিজেদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে। রেজিস্ট্রি ম্যারেজের সময় উপস্থিত ছিলেন ওম ও মিমির পরিবার ও ঘনিষ্ঠ কিছু আত্মীয়স্বজন। এরপর হয় কেক কাটিং সেরেমনি। কেকের সামনে দাঁড়িয়ে ওম ও মিমি দুজনে হাসিমুখে দুজনের দিকে তাকিয়ে ছবি তোলেন।

রেজিস্ট্রি ম্যারেজের দিন মিমির পরনে ছিল আগুনরঙা বেনারসি। তার সঙ্গে মানানসই করে মিমি পরেছিলেন সোনার গয়না। তবে তাঁর মেকআপ ছিল হালকা। ওমের পরনে ছিল গ্রে রঙের বেনারসি কাজ করা পাঞ্জাবি। ওম ও মিমি নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে বিয়ের ছবি শেয়ার করেছেন। বিয়ের ছবি শেয়ার করে ওম লিখেছেন, মিস্টার ও মিসেস সাহানী হয়ে ওঠা সত্যিই অ্যাডভেঞ্চারাস লাগছে। মিমি লিখেছেন, মিস্টার ও মিসেস সাহানী হয়ে তাঁরা জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন।

এছাড়াও ওম ও মিমি নিজেদের একটি ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করেছেন যাতে দেখা যাচ্ছে একটি বড় জানলার সামনে দাঁড়িয়ে আধো অন্ধকারে একে অপরকে চুম্বন করতে। 2011 সালে ‘আলোর বাসা’ সিরিয়ালের সেটে আলাপ হয়েছিল ওম ও মিমির। এরপর তাঁদের আর কোনো যোগাযোগ ছিল না। পুনরায় 2017 সালে একটি প্রজেক্টে একসঙ্গে কাজ করার সময় দেখা হয় তাঁদের। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব ও তারপর প্রেম। অবশেষে 3 রা ফেব্রুয়ারি ওম-মিমির ভালোবাসা পেল সুন্দর পরিণতি।

Related Articles

Back to top button