জাতীয় পুরষ্কারজয়ী গায়িকা ইমন চক্রবর্তী ! যার কন্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত, মৌলিক গীতি, লোক সঙ্গীত শোনার জন্য হাজার হাজার শ্রোতা অপেক্ষা করে থাকেন। এবার সেই পরিচিত ভঙ্গিমা থেকে বেরিয়ে নতুন আঙ্গিকে দর্শকের সামনে নিজেকে নতুন উপস্থাপনা করতে চলেছেন সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী। এই প্রথমবার ইমনের কন্ঠে শোনা যাবে কীর্তন। জন্মাষ্টমীর পূর্ণ তিথিতে সকল শ্রোতাদের এই কীর্তন উপহার দিতে চলেছেন তিনি। আগামী ২৮ শে অগাস্ট জেএসই মিউজিক কর্তৃক মুক্তি পেতে চলেছে ‘জগত্ সাজে বৃন্দাবন’।
এই গানটির গীতিকার আকাশ চক্রবর্তী,আর গানের সুর বেঁধেছেন ইমনের স্বামী জনপ্রিয় মিউজিক কম্পোজার নীলাঞ্জন ঘোষ। এই প্রথম গায়িকা একেবারে নিজস্ব ঘরানা ছেড়ে অন্য ঘরানার ল কীর্তন গানে মাতোয়ারা হতে দেখা যাবে ‘বৃন্দাবন বিলাসিনী রাই’ ওরফে ইমনকে। কীর্তন বাংলার সঙ্গীতের ইতিহাসে অনেক পুরোনো ধরণ। বহু যুগ যুগ ধরে বাংলার বহু শিল্পী এই ধরণের সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকেন। তবে বর্তমান প্রজন্মে এই গানের ব্যবহার ধীরে ধীরে কমছে। আগে গ্রাম বাংলায় ভগবান কৃষ্ণের লীলা নিয়েই মূলত কীর্তন গাওয়া হত। তবে বৃন্দাবন বিলাসিনী রাই ফিরিয়ে আনছে এই গান।
ইমন এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ইমন এখনকার দিনে নতুন কীর্তন গাইতে হবে এটা শুনেই তাঁর খুব অন্যরকম লেগেছিল। এই গানটা কীর্তনের বৈশিষ্ট্যগুলোকে ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। এর যন্ত্রসংগীত আয়োজনেও রাখা হয়েছে চিরাচরিত কীর্তনের স্বাদ। তিনি ছোটোবেলায় অনেক কীর্তন শুনেছেম। বাড়ির সামনে দোলের সময় কীর্তন হত আর এখনো সেই নস্টালজয়া আছে। তাই তিনিও কীর্তন শিখেছেন। আর এই কীর্তন শোনা আর শেখার অভিজ্ঞতা মিলিয়েই গানটা করেছেন।
ইমন চক্রবর্তী আরো জানান, আরও জানান, এই গানের সাথে খুব সুন্দর করে একটি মিউজিক ভিডিও ও প্রস্তুত করা হয়েছে যা দর্শক এবং শ্রোতাদের খুব ভালো লাগবে। ইমনের স্বামী নীলাঞ্জন জানান, তার অন্যধরনের গান তৈরির ঝোঁক আগে থেকেই ছিল। ছেলেবেলায় তিনি তবলা আর শ্রীখোল দুইই বাজিয়েছেন। স্ত্রীয়ের মতো স্বামীরও আশা এই গান সকলেরই ভালো লাগবে। এই মিউজিক ভিডিয়োতে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সুব্রত দাসের আঁকা ছবিও ব্যবহৃত হয়েছে।এই কীর্তনাঙ্গের গানটি আগামী ২৮ অগাস্ট সক্কাল সক্কাল জেএসই মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে। আর এই কীর্তনের সমগ্র পরিকল্পনায় রয়েছেন জোনাই সিং।