বহুদিন ধরেই টলি ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত রয়েছেন অভিনেত্রী রচনা ব্যনার্জি। একসময়ে বাংলা দর্শকদের হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। শুধু বাংলা না হিন্দি আর দক্ষিণী ইন্ড্রাস্টিতে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। এখন অভিনয় না করলেও টেলিভিশনে প্রতিদিন দর্শকের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করেছেন। ‘দিদি নং ১′ দিয়ে রচনা ব্যানার্জি হয়ে উঠেছেন সকলের প্রিয় দিদি।
সম্প্রতি নিজের জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষকে অভিনেত্রী হারিয়েছেন। গত নভেম্বর মাসে প্রয়াত হন অভিনেত্রীর বাবা রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪। অভিনেত্রীর বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তাঁর বাবা। নিজের বাবাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময় কাজ থেকে কিছুদিনের বিরতি নিয়েছিলেন। তবে দর্শকের ভালোবাসাতে ফের হাসিমুখে নিজের ঘরে অর্থাৎ ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ এ ফিরে এসেছিলেন অভিনেত্রী।
নতুন বছরে ফের আরো এক প্রিয় মানুষকে চিরতরে হারালেন অভিনেত্রী। প্রত্যেক অভিনেতা অভিনেত্রীর নিজের পরিবারের পাশাপাশি শ্যুটিং সেটে বেশি সময় কাটে। তেমনি রচনার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলনা। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সিনে দুনিয়ায় এক অতি জনপ্রিয় নাম। তিনি বহু ভাষার ছবিতে অভিনয় করেছেন। বলিউড থেকে শুরু করে ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন সকলের প্রিয় দিদি। ওড়িয়া ভাষাতে একটি দুটি নয় বরং একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। আর এই ইন্ড্রাস্টিতে অভিনেত্রীকে হাতে ধরে কাজ শিখিয়েছিলেন অভিনেতা মিহির দাস।
এবার সেই অভিনেতাকে চিরতরে হারালেন অভিনেত্রী। গত মঙ্গলবার অভিনেতা মিহির দাশ প্রয়াত হন। আর এই দুঃসংবাদ পেতেই আবারো শোকে ভেঙে পড়েন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেত্রী এক প্রথম সংবাদ মাধ্যমকে এই প্রসঙ্গে জানান, অভিনেতা মিহির খুব ভালো মানুষ ছিলেন, তাঁর সঙ্গে অভিনেতার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। ওড়িয়া ভাষাতে ছবি করতে গিয়ে কখনও তাঁর পর বলে মনে হয়নি, বরং সকলেই তাঁকে ভীষণ ভালো বাসতেন ও শ্রদ্ধা করতেন।
অভিনেত্রী এই প্রসঙ্গে আরও জানান, যে তিনি এই খুবই মর্মাহত। এটা তাঁর কাছে খুবই খারাপ সংবাদ। অভিনেতার মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৬৩। একসময়ে ওড়িয়ায় ভাষায় একের পর এক হিট সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন রচনা বন্দ্যোরপাধ্যায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাস খানেক ধরেই সেখানকার স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এছাড়াও অভিনেতার শরীরে আরও বেশ কিছু সমস্যা ছিল, শেষ সময় ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল অভিনেতাকে। তবে শেষ রক্ষা হলনা। চিরতরে না ফেরার দেশে চলে গেলেন গত মঙ্গলবার। ওড়িয়া ইন্ড্রাস্টিতে সকলেই শোকাহত এই দুঃসংবাদে।