Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘আগামী ৫ বছরে আদিবাসী পরিবারের অন্তত ১ জন চাকরি পাবে’, প্রতিশ্রুতি অমিত শাহের

বিজেপি জিতলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনের উন্নতি করবে বলে দাবি করলেন অমিত শাহ

Advertisement

একুশে বিধানসভা নির্বাচনে দামামা বেজে গেছে বাংলায়। বিজেপি তাদের সর্বশক্তি দিয়ে ভোটপ্রচারের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির কোনরকম খামতি রাখতে চায় না। তাই বারংবার কেন্দ্রীয় নেতাদের বাংলায় এনে ভোটপ্রচার করছে বিজেপি। তাদের মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘনঘন বাংলায় এসে বিজেপি প্রচন্ড ঝড় তুলছে। গতকাল শাহ বাংলার পুরুলিয়ায় এসে একটি জনসভা করেন। আর সেই জনসভা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তিনি তার ক্ষোভ উগরে দেন। এছাড়াও জঙ্গলমহলের মানুষদের জন্য বিজেপি সরকারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্বন্ধে মন্তব্য করেন তিনি।

পুরুলিয়া জনসভা থেকে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে বলেছেন, “আপনারা কি কাটমানি দিতে চান? তৃণমূল কংগ্রেস কি কখনো কাটমানি বন্ধ করতে পারবে? স্কিমের সরকার চান, নাকি স্ক্যামের সরকার চান? বিজেপিকে জেতালে বাংলার মানুষের উন্নতির জন্য নতুন নতুন স্কিম আসবে। কিন্তু তৃণমূল জিতে গেলে শুধুমাত্র স্ক্যাম হবে। স্কিম চাইলে মোদিকে ভোট দিন। আর স্ক্যাম চাইলে অপদার্থ মমতা সরকারকে ভোট দিন।”

অমিত শাহ এদিন জনসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপি সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে বলেছেন, “মোদি দেশের গরীব মানুষের জন্য ১১৫ এর বেশি প্রকল্প শুরু করেছে। আর দিদি ১০০ স্ক্যাম এনেছে। মোদি ১৩ কোটির বেশি করে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়েছে। আড়াই কোটি মানুষকে ঘর দিয়েছে। ১০ কোটি মানুষের টয়লেট বানিয়ে দিয়েছে। ৬০ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বীমা বানিয়েছে। কিন্তু বাংলায় দিদি সেসব আসতে দেয়নি।”

এছাড়াও তিনি জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “বিজেপি জিতলে এখানকার আদিবাসী এবং কুর্মি সম্প্রদায়ের লোকেরা চাকরি পাবে। এটা গেরুয়া শিবিরের প্রতিশ্রুতি। প্রত্যেক আদিবাসী পরিবার থেকে অন্তত একজন আগামী ৫ বছরের মধ্যে চাকরি পেয়ে যাবে।” এছাড়াও তিনি বলেছেন, “আদিবাসীরা বন সম্পদের উপর নির্ভর করে জীবন যাপন করে। কিন্তু রাজ্য সরকার তাদের ঠিকমতো কাজের মূল্য দেয় না। বিজেপি জিতলে বনজ সম্পদের জিনিসের উপর ঠিক দাম দেবে সরকার। প্রত্যেকটি জিনিসের এমএসপি সেট করা হবে যাতে আদিবাসীরা লাভের মুখ দেখতে পারে।”

Related Articles

Back to top button