দিল্লি : সোমবার উত্তাল জেএনইউ এর রূপ দেখেছে গোটা দেশ। হস্টেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে চালু হওয়া বিক্ষোভ ক্রমাগত খবরের শিরোনাম কাড়তে শুরু করেছে।সংসদের উদ্দেশ্যে যাত্রাকারী JNU এর পড়ুয়াদের মিছিলের উপর লাঠি চার্জ করার প্রতিবাদে আজও উত্তাল রয়েছে সংসদ।
জেএনইউয়ের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী নেতারা। মোদী সরকার গনতান্ত্রিক আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে চাইছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।
এদিন আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ বলেন” আইনজীবীরা আক্রমণ করায় তাদের পোষাকে দাগ লেগেছিল বলে দাবি করেছিলো দিল্লী পুলিশ, তবে এখন ছাত্র এবং প্রতিবন্ধীদের মারধর করায় তাদের পোষাকে কি কলঙ্ক লাগেনি।” তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বিরোধীদের অভিযোগ গুলোকে অস্বীকার করেছেন।মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ দাবি করেন যে জেএনইউকে শহুরে নকশালদের ডেরায় পরিনত করার বড় চক্রান্ত চলছে।
এদিন বিরোধীদের কটাক্ষ করে বিজেপির মুখপাত্র জিভিএল নরসিংহ রাও হস্টেল ফি বাড়ানোকে সমর্থন করে বলেন যে, “নার্সারিতে বাচ্চাদের ভর্তি করতে যাদের এক লক্ষ টাকা দিতে কোনো অসুবিধা নেই অথচ উচ্চ শিক্ষায় ৫০ হাজার টাকা দিতে অসুবিধা তারাই এর বিরোধিতা করছেন।”
এর প্রত্যুত্তরে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, “বিজেপি সরকার শিক্ষার জন্য ২.১৮ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে অথচ জেএনইউয়ের হস্টেল চালাতে এখন নাকি তাদের কাছে টাকা নেই। “এই তর্ক বিতর্কে দুপুর পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন এবং আজ এই একই বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত ছিল লোকসভা।
জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের তরফ থেকে অভিযোগ দায়ের করে বলা হয়েছে যে, বিক্ষোভ আটকাতে পুলিশ লাঠি চালানোর পাশাপাশি মহিলা বিক্ষোভকারীদের হেনস্থা করেছে। পুলিশ অফিসাররা অশালীন আচরণ করেছে। তবে পুলিশ এই সমস্ত দাবিকে অস্বীকার করেছে এবং দিল্লির কৃষ্ণনগর এবং লোধি কলোনী থাকায় উল্টে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে।
পুলিশ দাবি গতকাল ১৫ জন পড়ুয়ার সঙ্গে ৩০ জন পুলিশ ধস্তাধস্তিতে আহত হয়েছেন।তবে জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদ স্পষ্টভাবে জানায় যে, হোস্টেলের ফি না কমানো পর্যন্ত তারা তাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে।এছাড়া কর্তৃপক্ষ যাতে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেয় সেই জন্য মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক আধিকারিকদের অনুরোধ করেছে জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদ।
জেএনইউয়ের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী নেতারা। মোদী সরকার গনতান্ত্রিক আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে চাইছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এদিন আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ বলেন” আইনজীবীরা আক্রমণ করায় তাদের পোষাকে দাগ লেগেছিল বলে দাবি করেছিলো দিল্লী পুলিশ, তবে এখন ছাত্র এবং প্রতিবন্ধীদের মারধর করায় তাদের পোষাকে কি কলঙ্ক লাগেনি।”