টলিটাউনে এই মুহূর্তে বিয়ের ফুল ফুটেই চলেছে। নায়িকা-গায়িকা নির্বিশেষে একের পর এক স্টার বাঁধা পড়ছেন সাতপাকে। এর মধ্যেই নেটদুনিয়ায় প্রশ্নের ঝড় তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নববধূর সাজে নিজের ছবি শেয়ার করলেন অভিনেত্রী পার্ণো মিত্র (Parno Mitra)। ছবিতে পার্ণোর পরনে ছিল সাবেকী লাল রঙের জামদানি যার গোটা গায়ে ছিল সোনালি রঙের কারুকার্য। পার্ণোর কপালে ছিল সিঁদুরের টিপ এবং সিঁথিতে সিঁদুর। বাঙালি বিয়ের রীতি অনুযায়ী পার্ণোর মাথায় ছিল শোলার মুকুট ও কপালে চন্দনের কল্কা। তার সঙ্গে মানানসই করে তিনি পরেছিলেন ভারী সোনার গয়না ও নাকে টানা নথ। নববধূর সাজে পার্ণোকে সুন্দরী লাগছিল।
পার্ণো নববধূর সাজে নিজের ছবি শেয়ার করতেই নেটিজেনদের একাংশ তাঁকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন তাঁর বিয়ের তারিখ নিয়ে। নিজেকে বরাবর লো প্রোফাইলে রাখতে পছন্দ করেন পার্ণো। তাই নেটিজেনদের ধারণা হয়েছিল, পার্ণো হয়তো চুপিসারে তাঁর বিয়ে সেরে ফেলেছেন। কিন্তু পুরো ব্যাপারটি খোলসা করে পার্ণো জানিয়েছেন, এটি শুধুমাত্র একটি ফটোশুট। ফটোশুটটি করেছেন মুম্বইয়ের চিত্রগ্রাহক গৌরব গঙ্গোপাধ্যায় (Gaurav Ganguly)। তিনি পার্ণোর বন্ধু। ছবিগুলি পার্ণোর ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকাভুক্ত হয়েছে।এই কারণেই ছবিগুলি শেয়ার করে ক্যাপশন দিয়ে পার্ণো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)-এর একটি গানের কিছু কথা ধার করে লিখেছেন, “আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ”।
পার্ণোর বিয়ে ওসম্পর্ক নিয়ে বারবার গুজব ছড়িয়েছে টলিটাউনে। একসময় পরিচালক মৈনাক ভৌমিক (Mainak bhoumik)-এর সাথে পার্ণোর সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। কিন্তু পার্ণো ও মৈনাক দুজনেই জানিয়েছেন, তাঁরা শুধুমাত্রই ভালো বন্ধু। এরপর পার্ণো পিতৃহারা হন। সেইসময় তাঁর বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন,আপাতত তাঁর বিয়ের কোনো ইচ্ছা নেই। মেয়ে হিসাবে তিনি পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে চান। কয়েক বছর আগেও পার্ণোর একটি ব্রাইডাল লুকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। পরে জানা গিয়েছিল, ছবিটি কৌশিক গাঙ্গুলি (Kaushik ganguly) পরিচালিত ফিল্ম ‘অপুর পাঁচালী’-এর স্টীল। এই ফিল্মে পার্ণো নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।