শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রথমে ইডি হেফাজতে ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অনেকদিন ধরেই চলছিল জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। গত ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তারপর চলেছিল ২৭ ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদ। বক্তব্যে অসংগতি পেয়ে গত ২৩ জুলাই ইডি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রীকে। এরপর ৫ আগস্ট আদালত প্রাক্তন মন্ত্রীর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বর্তমানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেল।
জেলে ঢোকার পর থেকে নানা সমস্যায় জেরবার প্রাক্তন মন্ত্রীর জীবন। জেলের প্রথম রাতে তাঁকে ঘুমোতে হয়েছে মেঝেতে। ছোট্ট সেলে অন্যান্য কয়েদিদের মতই পার্থবাবুকেও শোয়ার জন্য দেওয়া হয়েছিল চারটি কম্বল। কিন্তু আরামদায়ক জীবনে অভ্যস্ত পার্থবাবু স্বাভাবিকভাবেই সেই বিছানায় ঘুমাতে পারেননি। এছাড়া জেল সূত্রে জানা গিয়েছে যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পা ফোলার সমস্যা বাড়ছে। সেই দিকে বিশেষ নজর রাখছেন জেলের ডাক্তাররা। তবে এখনো তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
আসলে স্থূলতার কারণে পার্থবাবুর জন্য মাটিতে বসাটা খুবই কষ্টকর। কিন্তু জেলের ঘরে খাট তো দূরের কথা, নেই একটি চেয়ার পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, জেলবাসের প্রথম রাতে মাটিতে বসতে না পেরে অর্ধেক রাত্রি পার্থবাবু কাটিয়েছেন জেলের শৌচাগারের কমোডে বসে। তাও বর্তমানে তাঁর পা অনেকটাই ফুলেছে। তারপর গতকাল শনিবার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে কার্যত অনুনয় বিনয় করে প্রাক্তন মন্ত্রী একটি খাটের ব্যবস্থা করেছেন।
আজ রবিবার প্রাতরাশে প্রাক্তনমন্ত্রীর ভাগ্যে জুটে ছিল চা ও মাখন পাউরুটি। দুপুরের খাবার পছন্দ না হওয়ায় আবার চা পাউরুটি খেয়ে রয়েছেন তিনি। তারপর চিকিৎসকরা তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ডাকলে তিনি জানান যে মেঝেতে বসতে না পারায় তার পা ফুলে যাচ্ছে। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে জেল কর্তৃপক্ষ অবশেষে তাঁকে একটি খাট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখনো অব্দি তাঁকে জেল হাসপাতালে ভর্তি করার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।