রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবারও শুরু হতে চলেছে উত্তেজনা। আগামী বৃহস্পতিবার ফের শুনানির জন্য উঠছে মামলাটি। এই রায়ের দিকে নজর শুধু রাজ্যের কর্মীরা নয়, সাধারণ মানুষও রাখছেন গভীর আগ্রহ নিয়ে। এরই মধ্যে মামলাটিকে নতুন মাত্রা দিলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
আইনজীবীর দাবি, **রোপা ২০০৯**-এর নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন কাঠামোতে বেসিক পে, গ্রেড পে, মেডিক্যাল অ্যালাওয়েন্স, হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স এবং মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-এর বিষয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। চিকিৎসকদের জন্য বাড়তি একটি ভাতার কথাও সেখানে ধরা হয়েছে। তাঁর মতে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে নিয়েছিল, যেখানে বছরে দু’বার ডিএ দেওয়ার সুপারিশ ছিল। সুতরাং, সেই নিয়ম কার্যকর করাই আইনসঙ্গত।
ফিরদৌস শামিম বলেন, সর্বভারতীয় মূল্যসূচক (All India Price Index) প্রতি মাসেই প্রকাশিত হয়। তাই চাইলে প্রতি মাসেই ডিএ নির্ধারণ সম্ভব। যদিও প্রশাসনিক সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের মতো বছরে দু’বার দেওয়ার পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছিল, কিন্তু নিয়ম না মানলে প্রতি মাসে ডিএ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। ফলে কর্মীরা ডিএ এরিয়ার হিসেবে আরও বেশি টাকা পাওয়ার সুযোগ পাবেন।
রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে একটি লিখিত হলফনামা জমা পড়েছে। আইনজীবীর বক্তব্য, রোপা ২০০৯ বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট বোঝা যায়, বছরে দু’বার না পারলে মাসে মাসে ডিএ দেওয়া উচিত। এই দাবিই মামলায় কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। আগামী বৃহস্পতিবারের শুনানিতে আদালত কী রায় দেন, তা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। কারণ, রায়ের ফল সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে হাজার হাজার সরকারি কর্মচারীর আর্থিক অবস্থায়।