রাজ্যে করোনা ভাইরাসের দাপট অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে লকডাউন হচ্ছে একমাত্র রাস্তা এই করোনা ভাইরাসের গ্রাফ নিম্নমুখী করার জন্য। ঈদ এবং অন্যান্য উৎসব হয়ে যাবার পরেই এবারে রাজ্য সরকার সারা পশ্চিমবঙ্গে জন্য জারি করল সামগ্রিক লকডাউন। এই লকডাউনে বন্ধ করতে চলেছে সরকারি এবং বেসরকারি বাস, লোকাল ট্রেন এবং ব্যক্তিগত গাড়ি। লকডাউন এর আগে আজকেই শেষ দিন। যারা কোন দূরে জায়গায় থাকেন তাদের আজকের মধ্যে বাড়ি যেতে হবে না হলে তারা আরও ১৫ দিন বাড়ি যেতে পারবেন না।
এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে পড়ে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সকলে। উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে ধর্মতলা, করুণাময়ী সহ বেশকিছু বাস টার্মিনাসে। যারা দূরের কোন জায়গায় যাবেন তাদের ভিড় সবথেকে বেশি। আর সেই সুযোগে বাস মালিকরা শুরু করে দিয়েছেন টিকিট কালোবাজারি। যে রাস্তা যেতে ৫০০ টাকা ভাড়া দিতে হতো আজকে ১০০০ টাকা দিতে হচ্ছে বলেই অভিযোগ।
শনিবার ধর্মতলায় সরকারী এবং বেসরকারী দূরপাল্লার বাস স্ট্যান্ডে মানুষের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ল। বহু মানুষ বর্ধমান, আরামবাগ, বাঁকুড়া এবং দীঘার লাইনের বাস ধরার জন্য অপেক্ষা করছেন। টিকিট কাটার জন্য লোকে গাদাগাদি করে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সোশ্যাল ডিসটেন্সিংয়ের কোন বালাই নেই। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাবে নাতো?
টিকিটের পরোয়া না করে সকলেই বাসে উঠে পড়েছেন। সকলের মুখে একটাই কথা, বাস পেতে পেতে প্রায় ২ থেকে ৩ গুণ বেশি সময় লাগছে। সবাই দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া নিতে শুরু করেছেন। কয়েকশো যাত্রী এই লাইনে অধীর আগ্রহে এখনও অপেক্ষা করে চলেছেন। সবার মনেই একটাই দুশ্চিন্তা, কিভাবে বাড়ি যাওয়া যাবে।














