‘ঝাড়খণ্ডের মানুষ আর বিজেপির মিথ্যের শিকার হতে চায় নি’, বিজেপিকে এভাবেই আক্রমণ করল শিবসেনা
গতকাল ঝাড়খন্ড বিধানসভা ভোটের ফলাফল বেরিয়েছে। জেএমএম-কংগ্রেস জোটের কাছে পর্যদুস্থ হয়েছে বিজেপি। হেরেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রঘুবর দাস। আজ বিজেপির প্রাক্তন শরিক শিবসেনা তাদের মুখপত্র সামনা’য় তীব্র সমালোচনা করছে বিজেপির। শিবসেনা তাদের মুখপত্রে লিখেছে, ‘ভোটারদের গুরুত্ব না দেওয়ার জন্যেই আদিবাসী অধ্যুষিত ওই রাজ্যে হেরেছে বিজেপি। ভোটারদের বঞ্চিত করেছে তাদের অধিকার থেকে।’ শিবসেনা আরও বলেছে, ‘ঝাড়খণ্ডের লোকেরা বিজেপির মিথ্যের শিকার আরও একবার হতে চায়নি, তাই তারা বিজেপিকে ভোট দেয়নি।’
‘বিজেপি একসময় কংগ্রেস মুক্ত ভারত গঠনের ডাক দিয়েছিল, আজ বিজেপিই ক্রমশ ভারত থেকে মুছে যাচ্ছে। বিজেপি অনেক আগেই রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে হেরেছিল, এবার ঝাড়খণ্ডেও হারলো’, দলের মুখপত্র সামনা’তে এরকমই লিখেছে একসময় বিজেপির প্রধান শরিক শিবসেনা। মঙ্গলবার ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় কংগ্রেস, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল জোট ৪৭ টি আসনে জয়লাভ করেছে, বিজেপি ২৫ টি আসনে। ৮১-আসন বিশিষ্ট ঝাড়খন্ড বিধানসভায় কংগ্রেস, জেএমএম জোট সরকার গঠন করতে চলেছে। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন জেএমএমের সভাপতি হেমন্ত সোরেেন।
আরও পড়ুন : আগে দিল্লী সামলান, তারপর বাংলা সামলাতে আসবেন : মুখ্যমন্ত্রী
এই হারের পর শিবসেনার মুখপত্র সামনা’র সম্পাদকীয় পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ‘২০১৮ সালে দেশের ৭৫ শতাংশ বিজেপি দ্বারা শাসিত ছিল। আজ তা হ্রাস পেয়ে মাত্র ৩০-৩৫ শতাংশ বিজেপি শাসনের অধীনে রয়েছে।’ প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রে দীর্ঘদিনের শরিক বিজেপিকে ছেড়ে গত মাসেই কংগ্রেস ও এনসিপির সাথে জোট বেঁধে সরকার গড়েছিল শিবসেনা। তারপর থেকেই একের পর এক ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তারা।