সম্প্রতি বাড়িয়ে ব্যবহৃত এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমানোর পরে, কেন্দ্রীয় সরকার দীপাবলির সময় পেট্রোল, ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৩-৫ টাকা কমাতে পারে বলে অনেকে মনে আশা করছেন। নভেম্বর ডিসেম্বরে কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার আগে সরকার এই পদক্ষেপ নিতে পারে বলে অনুমান। জেএম ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনাল সিকিউরিটিজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে সরকার ৩৩ কোটি গ্রাহকের জন্য ১৪.২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ২০০ টাকা কমিয়েছে। ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৫ ডলারের ওপরে থাকলে তেল বিপণন সংস্থাগুলির (ওএমসি) আয় ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমাতে বাধ্য পারে ওএমসিগুলো। এলপিজির দাম কমানোর বোঝা বহন করবে সরকার। এ ছাড়া দীপাবলিকে ঘিরে পেট্রোল/ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৩-৫ টাকা কমাতে পারে বলেও অনেকে আশা করছেন।
নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনেক রাজ্যে ইলেকশন রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই হ্রাস বেশিরভাগ আবগারি শুল্ক অথবা ভ্যাট হ্রাসের মাধ্যমে করা হতে পারে। কারণ অপরিশোধিত তেলের বর্তমান উচ্চ মূল্যে ওএমসিগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। দাম কমবে কি না সেটা পরের কথা, তবে এটা অস্বীকার করা যাবে না যে সরকার ওএমসিগুলিকে পেট্রোল কিংবা ডিজেলের দাম কমাতে চাপ দিতেই পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ২০২৪ অর্থ বছরের প্রথমার্ধে সম্ভাব্য শক্তিশালী মুনাফার কারণে তাদের ব্যালেন্স শিটগুলি মূলত সংশোধন করা হয়েছে। কিছু গণনায় দেখানো হয়েছে যে ওএমসি ব্রেক ইভেন ব্রেন্ট এর দাম ব্যারেল প্রতি 80 ডলারের নীচে রয়েছে। চীনা তেল পণ্য রফতানি কোটা বৃদ্ধি এবং রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের ছাড় হ্রাস মার্জিন সীমাবদ্ধ করার সম্ভাবনা রয়েছে।