পেট্রোল পাম্প ডিলারশিপ থেকে মাসে আয় করুন কয়েক লাখ টাকা, জানুন পুরো পদ্ধতি
পেট্রোল পাম্প কিভাবে খুলবেন এবং লাইসেন্স পেতে কত খরচ হবে সে সমস্ত বিষয় নিয়ে রইল বিস্তারিত আলোচনা
ভারতে পেট্রোল এবং ডিজেলের চাহিদা সবসময়ই থাকে ব্যাপক। পেট্রোল পাম্পে ব্যাপক হারে পেট্রোল এবং ডিজেল বিক্রি হয়ে থাকে। আপনি যদি কোন নতুন একটি ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে চান তবে আপনি এটি পেট্রোল পাম্প খুলতে পারেন। পেট্রোল পাম্পের ব্যবসাটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, এবং অন্যান্য সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি ভারতে পেট্রোল পাম্পের জন্য লাইসেন্স প্রদান করে থাকে।
২১ থেকে ৫৫ বছর বয়সে যে কোন ব্যক্তি পেট্রোল পাম্পে লাইসেন্স গ্রহণ করতে পারেন। কেউ যদি গ্রামীন এলাকায় পেট্রোল পাম্পের লাইসেন্স নিতে চান তাহলে তাকে নূন্যতম মাধ্যমিক পাস হতে হবে এবং যদি কেউ শহর অঞ্চলে পেট্রোল পাম্প নিতে চান তাহলে তাকে নূন্যতম উচ্চ মাধ্যমিক পাস করতে হবে। এটি একটি উচু লাভজনক ব্যবসা এবং এই ব্যবসায় আপনারা একটা নূন্যতম পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে প্রচুর লাভের মুখ দেখতে পারেন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি আপনি গ্রামীণ অঞ্চলে পেট্রোল পাম্প খুলতে চান তাহলে আপনাকে ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে এবং যদি আপনি শহরে পেট্রোল পাম্প করতে চান তাহলে আপনাকে কম করে হলেও ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। ইন্ডিয়ান অয়েলের ওয়েবসাইট অনুসারে, ফিল্ড স্টিমের গবেষণার উপরে ভিত্তি করে কোম্পানিটি যেকোন স্থানে খুচরো আউটলেট স্থাপন করে থাকে। যদি সেই জায়গাটি ব্যবসার জন্য ভালো বলে মনে করা হয় তবে তা বিপণন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের মাধ্যমে আপনি পেট্রোল পাম্প খোলা নির্দেশিকা পেতে পারেন খুবই সহজে।
যদি আপনি জাতীয় সড়কের ধারে পেট্রোল পাম্প হলেন তাহলে আপনাকে নূন্যতম ১,২০০ বর্গমিটার জায়গায় সেই পেট্রোল কোম্পানিকে দিতে হবে। অন্যদিকে যদি আপনি শহর অঞ্চলে পেট্রোল পাম্প খোলেন তাহলে আপনি ৮০০ বর্গমিটার জায়গায় পেট্রোল পাম্প তৈরি করতে পারবেন। যদি জমিটি আবেদনকারীর নামে না থাকে তাহলে তাকে একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য জমিটি লিজ নিতে হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো, একটি পেট্রোলিয়ন সংস্থা যদি একটি নতুন এলাকায় পেট্রোল পাম্প খুলতে যায় তাহলে এর জন্য সংবাদপত্র এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়ে থাকে। তারপর ব্যবহার করা হয় লটারি পদ্ধতি। সেই লটারি পদ্ধতিতে যার নাম উঠে তিনি এই সংস্থার পেট্রোল পাম্প সেই জায়গায় তৈরি করতে পারেন।