অফবিট

কুমড়োর বীজে রবীন্দ্রনাথের ছবি এঁকে ‘ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডে’ নাম তুলল ১০ বছরের বাঙালি খুদে ঋতমা

Advertisement

নিত্যদিন আমাদের জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব বেড়ে চলেছে। মানুষ এটি এমন একটি প্লাটফর্ম হিসেবে ধরে নিয়েছে যার মাধ্যমে সারা বিশ্বের কাছে নিজেকে এবং নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়। যত দিন যাচ্ছে ততই মানুষ যেন আরো বেশি এই ডিজিটাল দুনিয়ার ওপরে নির্ভর হয়ে পড়ছে।

নিত্যদিন আমরা কিছু না কিছু নতুন ঘটনার সাক্ষী ঘরে বসেই।এই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান রকমের ঘটনার সাথে সাথে আমরা সাধারন মানুষের এমন অনেকই সুপ্ত প্রতিভার সন্ধান পাচ্ছি যা তার জীবনকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে সাহায্য করে।এখনকার বাস্তব জীবনে যে ব্যস্ততা এবং নিজেকে শীর্ষে পৌঁছানোর জন্যে যে প্রতিযোগিতা তার জন্য নিয়ত লড়াই করে চলেছি আমরা সকলেই, এই ব্যস্ততা থেকেই নিজের মনকে কিছুটা মুক্ত করার জন্য আমরা এই সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হই। বিভিন্ন ঘটনার সাথে সাথে নানা রকম মানুষের নানারকম প্রতিভা নাচ-গান আঁকা ইত্যাদি সব রকমের প্রতিভার ই ঝালক আমরা দেখতে পাই।এই লকডাউন এ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি মানুষের ঝোঁক আরো বেশি করে বেড়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি সকলেই নিজদের সময় কাটিয়েছেন এই সোশ্যাল মিডিয়াতেই। ভাইরাল হয়ছে প্রচুর ভিডিও। প্রুচর অবাক করা সংবাদ আমাদের কাছে এসে পড়ছে।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায় হাওড়ার মন্দিরতলায় থাকে ঋতমা ধর ১০ বছরের ছাত্রী তার আঁকা ছবি। শুধু আঁকা নয় সে কুমড়োর বীজের মধ্যে আঁকল রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির ছবি। খুদের কি অসাধারণ শৈল্পিক প্রতিভা। তারি প্রতিভার জন্য ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডে তার নাম ওঠে। ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডে তরফ থেকে তাকে সম্মানিত করা হয় বিভিন্ন পুরস্কার এবং সার্টিফিকেটের মাধ্যমে । নারী নির্যাতনের উপর কার আঁকা বিভিন্ন ছবি এবং কুমড়োর বীজের মধ্যে আঁকা রবীন্দ্রনাথ নেতাজি এনাদের ছবি তন্ময় বাবু অর্থাৎ ঋতমার বাবা পাঠিয়েছিল ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডের দপ্তরে। সেখানের বিচারকরা মুগ্ধ হয়ে যায় এই খুদের প্রতিভা দেখে। তখন তারা তাকে নানান পুরস্কার এবং সার্টিফিকেট দ্বারা সম্মানিত করে এবং ঋতমা ধরের নাম ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ড এ নথিভূক্ত করে।

Related Articles

Back to top button