‘উপনির্বাচনটা ক্লিয়ার করে দিন’, প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি মমতার
ভোটের ছয় মাসের মধ্যে উপ নির্বাচনে জিততে হবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তেমনটাই বলে নির্বাচনী আইন।
করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে উপনির্বাচনের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আমি তো শুনেছি প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত না পেলে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের অনুমতি দেবে না। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি যেন উপনির্বাচনটা তিনি ক্লিয়ার করে দেন। উপ নির্বাচনের জন্য খুব একটা বেশি দিন প্রয়োজন নেই আমরা প্রস্তুত আছি।”
নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করলেন, তার সাথে সাথেই উপনির্বাচনের আর্জি রাখেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু নন্দীগ্রাম আসনে লড়াই করে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। যদিও তিনি সেই কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, কিন্তু তবুও যতক্ষণ না পর্যন্ত আদালতের কোন রায় আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু তিনি বিধায়ক নন। বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী ভোট হবে ছয় মাসের মধ্যে উপ নির্বাচনে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নন্দীগ্রামে কি হবে না হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে। তাই, মমতাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কারণ ইতিমধ্যেই ভোট হয়ে দেড় মাস হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু মমতাকে জিতে আসতে বাধা দেবে খোদ নির্বাচন কমিশন, এই অভিযোগে টুইট করেছেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা অধুনা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি যশোবন্ত সিনহা। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক একই দাবি এনেছেন। তিনিও বলছেন রাজ্যে সর্ব মোট ৭ আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। এদের মধ্যে আছে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় এবং অমিত মিত্রের আসন। এরকম পরিস্থিতিতে যদি নির্বাচন কমিশন কোনরকম ভোট আয়োজন না করেন তাহলে কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায় জিতে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না।
তবে সে ক্ষেত্রে তার কাছে আরো একটি রাস্তা রয়েছে, সেটি হলো বিধান পরিষদ গঠন করা। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও সময় লাগতে পারে। তাই যাই হোক না কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভায় যাওয়া আটকানোর জন্য পুরোদমে কাজ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন, এমনটাই দাবি করেছেন অনেক তৃণমূল নেতা। তারপর যদি কেন্দ্রের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন কাজ করে, তাহলে হয়তো করোনা ভাইরাসের অজুহাতে আগামী ৬ মাস ধরে নির্বাচনের সিডিউল ঝুলিয়ে রাখতে পারে নির্বাচন কমিশন।তাই আগামী কয়েকদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।