আপনি যদি বর্তমানে চাকরি খুঁজছেন অথবা আপনার নিজের নতুন ব্যবসা করতে চান তবে এই খবরটি আপনাকে খুশি করবে। হ্যাঁ, আপনি কম বিনিয়োগে প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন। জন ঔষধি কেন্দ্র খোলার জন্য PACS কমিটিগুলিকে সমবায় মন্ত্রনালয়ের দ্বারা সম্প্রতি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাওয়া যায়। সমবায় মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে যে, সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন ঔষধি কেন্দ্র খোলার জন্য ২,০০০ প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতি (PACS) অনুমোদন করা হয়েছে।
আগস্টের মধ্যে ১০০০টি কেন্দ্র খোলা হবে
মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই বছরের আগস্টের মধ্যে প্রায় ১,০০০টি জন ঔষধি কেন্দ্র খোলা হবে সারা ভারতে। অবশিষ্ট জন ঔষধি কেন্দ্রগুলি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে খোলা হবে। আমরা আপনাকে বলি যে, আপনি একটি জন ঔষধি কেন্দ্র খুলে প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন। সরকার থেকে আপনাকে অতিরিক্ত ভর্তুকিও দেওয়া হয়। স্বরাষ্টমন্ত্রী মন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়ার মধ্যে একটি বৈঠকে, PACS কমিটিগুলিকে জন ঔষধি কেন্দ্রগুলি খোলার অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
২০০০ PACS কমিটি নির্বাচন
এর জন্য, সারাদেশ থেকে ২,০০০ PACS কমিটি নির্বাচন করা হবে। সমবায় মন্ত্রক বলেছে, “এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি শুধু প্যাক্স সোসাইটির আয় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগই বাড়াবে না, ওষুধও সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষের কাছে উপলব্ধ করা হবে।” এখন পর্যন্ত, সারা দেশে ৯,৪০০ টিরও বেশি জন ঔষধি কেন্দ্র খোলা হয়েছে যা সাশ্রয়ী মূল্যের ওষুধ বিক্রি করে। এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে প্রায় ১,৮০০ ধরনের ওষুধ এবং ২৮৫টি চিকিৎসা ডিভাইস বিক্রি হয়।
জন ঔষধি কেন্দ্রে পাওয়া ওষুধের দাম খোলা বাজারে পাওয়া ব্র্যান্ডেড ওষুধের তুলনায় ৫০-৯০ শতাংশ কম। একটি জন ঔষধি কেন্দ্র খোলার জন্য, আবেদনকারীর ন্যূনতম ১২ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে। এর জন্য আবেদন ফি ৫,০০০ টাকা।