হে বিধাতা দাও দাও মোদের গৌরব দাও, বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান থেকে প্রার্থনা প্রধানমন্ত্রীর

নয়াদিল্লি: শতবর্ষ উদযাপন শুরু হল বিশ্বভারতীতে। ৮ পৌষ বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবস। এবার ১০০ বছরে পা দিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। আজ, বৃহস্পতিবার তার শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী-আচার্য নরেন্দ্র মোদী। সকালেই বিশ্বভারতীতে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

এই ভার্চুয়াল সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নমস্কার হে বিধাতা দাও দাও মোদের গৌরব দাও। গুরুদেব কখনও ছাত্রদের কথা ভেবে এ কথা বলেছিলেন। আজ সারা দেশ এই কথা বলে আমাদের সঙ্গে। আমি ভাগ্যবাণ এই পূণ্যলগ্নে আমিও সামিল হতে পেরেছি। এ এক আরাধ্য স্থল। নতুন ভারত নির্মাণের জন্য বিশ্বভারতীর নিত্য নতুন প্রয়াস রয়েছে। আমি খুশি বিশ্বভারতী, শ্রীনিকেতন ও শান্তিনিকেতন অনবরত সেই লক্ষ্য ছুঁয়ে চলেছেন গুরুদেব যার স্বপ্ন দেখেছেন। প্রকৃতির সঙ্গে মিশে এক উদার শিক্ষার পাঠ দেয় বিশ্বভারতী। এই প্রতিষ্ঠান দেশকে শক্তি জুগিয়েছে। ভারতে স্বাধীনতার কথা বললেই তখন সোজা আমাদের উনিশ শতকের কথা মনে হয়। কিন্তু এর বীজ অনেক গভীরে। ভক্তি আন্দোলন ভারতকে এক সূত্রে বেঁধেছিল।

এখানেই থামেনি প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেছেন, ‘এই মহামারি আমাদের শিখিয়েছে ভোকাল ফর লোকাল। আমরা যখন আত্মসম্মান, আত্ম নির্ভরতার কথা বলছি, তখন বলি, যারা পৌষ মেলায় গরীব শিল্পীরা আসতেন, চলুন তাঁদের পাশে দাঁড়াই। বিশ্ব বাজারে কীভাবে তাঁদের প্রতিভা পৌঁছে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করুন। পৌষ মেলা ভোকাল ফর লোকালের আক্ষরিক রূপ।’ এভাবেই বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।