নয়াদিল্লি: আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে এখন থেকেই বিজেপি নির্বাচনী প্রচার এক প্রকার শুরু করে দিয়েছে, এমনটা বলাই যায়। পুজোর আগে রাজ্য সফরে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তারপর দীপাবলির মরশুমে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দুর্গাপুজোর বোধনের দিন অর্থাৎ মহাষষ্ঠীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেখা গিয়েছিল রাজ্যবাসীকে দূর্গোৎসবের শুভেচ্ছাবার্তা দিতে। একুশের ভোটকে কেন্দ্র করে এটাই বিজেপির রণকৌশল, এমনটাই দাবি করেছে তৃণমূল-কংগ্রেস। আর এবার একুশের ভোটের আগে রাজ্য সফরে আসছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
করোনা পরিস্থিতির কারণে শান্তিনিকেতনে এ বছর পৌষ মেলা না হলেও পালিত হবে পৌষ উৎসব। এর পাশাপাশি রয়েছে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা দিবস। আর সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলায় আসছেন। প্রধানমন্ত্রী শুধু বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন না, এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়ে বাংলা সফরে আসছেন মোদি। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে তার আগমন, যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জানা গিয়েছে, দক্ষিনেশ্বর থেকে নোয়াপাড়া মেট্রো উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়েই হবে। এর আগে কালীপুজো তথা দীপাবলিতে দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর সূচনা হওয়ার কথা ছিল। তাই জোরকদমে কাজ করছিল রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কিছু কাজ বাকি থেকে যাওযায় দীপাবলীর শুভ লগ্নে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো সূচনা করা সম্ভব হয়নি। তবে চলতি বছরেই মেট্রো পরিষেবা চালু হবে বলে আশার বাণী শুনিয়েছে ভারতীয় রেল। এমনকি এই মেট্রো পরিষেবা উদ্বোধন করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবসে আসার জন্য আগেই প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারপর দক্ষিণেশ্বর মেট্রো সূচনার কাজ বাকি রয়েছে, তাই দুটি কাজেই প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে সূচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো চালু হওয়ার দিনক্ষণ এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে কবে আসছেন, তাও নির্দিষ্ট করে জানা যায়ন। তবে খুব শীঘ্রই দিনক্ষণ জানা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।