বিশ্বকবি একতার বার্তা দিয়েছিলেন, তা ভোলার নয়, বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বার্তা প্রধানমন্ত্রী
নয়াদিল্লি: ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) যে একতার বার্তা দিয়েছিলেন, তা যেন কেউ না ভোলে’- এদিন বিশ্বভারতীর (Biswabharti) সমাবর্তন অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিশ্বভারতীকে দেশের গৌরব বলে উল্লেখ করেন এবং এদিন রবীন্দ্রনাথের বেশ কয়েকটি কবিতা (Poem) আবৃতি করেন প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিমবাংলার (Westbengal) প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের প্রেরণাস্থল বাংলা।’
বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী, এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ নিশঙ্ক। এদিনএর অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারার জন্য বক্তব্যের শুরুতের দুঃখ পকাশ করেন নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার ছত্রপতি শিবাজির জন্মদিন উপলক্ষে বক্তব্যের শুরুতেই রবীন্দ্রনাথের ‘শিবাজি উত্সব’ কবিতাটির কিছু অংশ আবৃত্তি করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাথে ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানের পঙক্তি ও ‘ভারতের মহামানবের সাগরতীরে’ দেশের পুণ্য তীর্থের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। দেশবাসীকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্য রবীন্দ্রনাথের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘বিশ্বভারতী কেবল মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি অনন্য প্রয়াস।’ সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জ্ঞানের কোনও সীমা নেই এমন ভাবনা থেকেই বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।’
তিনি বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যতকে বদলানোর ক্ষমতা রয়েছে দেশের যুবশক্তির মধ্যে। আপনাদের কেবল সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারা সমস্যার সমাধান করতে চান নাকি সেটার অংশ হয়েই থাকতে চান। সাফল্য -অসাফল্য ভবিষ্যত্কে নির্মাণ করে না। সিদ্ধান্ত নিতে কখনও ভয় পাওয়া উচিত নয়।’