গত পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ভোটের দিনে জনসভা। আজকে তৃতীয় দফায় নির্বাচন। আর তৃতীয় দফায় নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী আসছেন কোচবিহার এবং হাওড়ায় দুটি জনসমাবেশ করার জন্য।যদিও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফা ভোটের মাঝখানে রাজ্যে এসেছিলেন মোদি কিন্তু সেখানে সভা করে গিয়েছেন তারকেশ্বর এবং সোনারপুরে। আর এবার সভা হাওড়া এবং কোচবিহারে।
তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঠিক কেন নির্বাচনের দিনগুলোকে বেছে নিচ্ছেন সভা করার জন্য? বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, এই দিনগুলিতে নরেন্দ্র মোদির বাংলায় আগমন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। প্রথম দফায় যেদিন ভোট ছিল সেদিন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী বাংলায় ছিলেন না কিন্তু তিনি গিয়েছিলেন বাংলাদেশ মতুয়া তীর্থস্থান দর্শন করতে। তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
পহেলা এপ্রিল থেকে এই নিয়ে পরপর দু’দিন ভোটের দিনে রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন প্রথমে মথুরাপুর এবং পরে উলুবেরিয়া সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “দিদি নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন। দিদির মুখ এবারের নির্বাচনে ভোটের এক্সিট পোল।” একই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু রয়েছেন নন্দীগ্রামের বয়ালে একটি নির্বাচনী বুথে এবং সেখানে চলছে বিক্ষোভ।
মোদি আরো বলেছিলেন, ‘আমি শুনতে পাচ্ছি দিদি অন্য একটা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, এটা কি তাহলে সত্যিই? আপনি প্রথমে নন্দীগ্রামে গেলেন এবং সেখানকার মানুষ আপনাকে জবাব দিয়ে দিল। জাপানি যদি অন্য কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়তে চান তাহলেও কিন্তু বাংলার মানুষ প্রস্তুত রয়েছে।’ রাজনৈতিক মহলের মতামত, ভোটের দিন রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী কিছুটা হলেও ভোট কে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী যখন ভাষণ দিতে শুরু করেন তখন কিন্তু ভোটের অনেকটা সময় বাকি থাকে এবং তারবার্তা সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এই নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব কোন রকম মন্তব্য করতে নারাজ।














Florence Pugh Speaks Out on Zach Braff’s “Unfair” Treatment Over Their 21-Year Age Difference