সমাজব্যবস্থা ঠিকঠাক চলছে কিনা এবং প্রশাসকরা ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছে কিনা তা দেখার জন্য বহুদিন আগে অনেক বড় মাপের পুলিশ অফিসার কিংবা শাসকরা ছদ্মবেশ ধারণ করে এলাকায় ভ্রমণ করতেন। আপনারা যদি যোধা আকবর সিনেমাটি দেখে থাকেন তাহলে সেখানেও কিন্তু এরকমই একটি ব্যাপার দেখানো হয়েছিল। তবে, এরকম মানুষ যে এখনো রয়েছে সেটাই এবারে প্রমাণ করে দিলেন পুনের পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ প্রকাশ। তিনি পুলিশের কাজকর্মকে ঠিকঠাক ভাবে পরীক্ষা করে দেখার জন্য পাঠানের বেশে মুখে বড় চুল দাড়ি লাগিয়ে হাজির হলেন একের পর এক থানায়।
তার সঙ্গে তিনি নিয়েছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ প্রেরণা খাটেকে। তাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রত্যেকটি থানায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন কৃষ্ণ প্রকাশ। সেখানে গিয়ে নিজেদের অভিযোগ দায়ের করেন। তারা আসলে দেখতে চেয়েছিলেন সাধারন মানুষ অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ এরা কেমন ভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবহার করে।
হিঞ্জেওয়াদি থানায় অভিযোগ করেছিলেন তার স্ত্রীকে কিছু সমাজবিরোধী রাস্তায় উত্ত্যক্ত করছিল এবং তারা রাস্তার মাঝখানে শব্দবাজি ফাটাচ্ছিলো। এরপর অন্য একটি পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন তার স্ত্রীর গলার চেইন ছিনতাই হয়ে গেছে। ওই দুটি থানায় পুলিশ অফিসাররা তৎপর ভাবে কাজ করলেও। পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় থানায় গিয়ে বিপত্তি বাধে। সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ জানাতে চান একজন করণা আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার অনেক টাকা দাবি করছে।
কিন্তু এই অভিযোগ শোনার পরেও ওই থানার কর্তব্যরত অফিসার অভিযোগে কোন সাড়া দেননি। উল্টে তাদের অভিযোগ তিনি নিতে চাননী বলেও খবর। তিনি জানিয়ে দেন স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করতে না হলে তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না। এই ঘটনাটি দেখার পরেই ওই দুই পুলিশ অফিসার নিজেদের পরিচয় দেন। বর্তমানে পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় থানার পুলিশ অফিসার কে শো কজ করা হয়েছে তার কাজের জন্য।