নববর্ষের আমেজ কাটিয়ে ওঠার আগেই ৬ জানুয়ারির সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানা এলাকায় একটি অর্ধদগ্ধ নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অর্ধদগ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকার সময় শেয়াল কুকুরে খুবলে খেয়েছে দেহটি।
ময়নাতদন্তে জানা যায় গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে দেওয়া হয় বছর সতেরোর এই নাবালিকাকে। ঘটনার নৃশংসতা হার মানিয়েছে হায়দ্রাবাদ কান্ডের ভয়াবহতাকে। পুলিশী তদন্তে জানা যায়, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে নাবালিকার প্রেমিক। তবে একাধিক ব্যক্তির যোগসাজশে মেরে ফেলা হয় মেয়েটিকে। এটা নিশ্চিত হওয়ার পরই পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালায়।
আরও পড়ুন : সন্তানকে স্কুলে পড়ালে মাকে বছরে ১৫ হাজার টাকা দেবে সরকার
পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ে গণধর্ষণ কান্ডের তিন অভিযুক্ত মাহাবুব মিঞা, পঙ্কজ বর্মন ও গৌতম বর্মন। বৃহস্পতিবার সেই তিন অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। অপরাধীদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয় এদিন। প্রায় ঘন্টা দুই তিনেক ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।
ঘটনার পুনর্নির্মাণ নিয়ে পুলিশ কিছু না জানালেও, বিশেষ সূত্রে খবর, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করছে না তারা। প্রসঙ্গত, বছর সতেরোর এই নাবালিকাকে গোপন স্থানে নিয়ে যায় প্রেমিক মাহাবুব মিঞা। সেখানে এসে উপস্থিত হয় অপর দুই অপরাধী পঙ্কজ বর্মন ও গৌতম বর্মন। তিনজন মিলে গনধর্ষনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় তাকে। তারপর বাইক থেকে পেট্রোল বের করে জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় নাবালিকার দেহ।