গতকাল রাতে শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রা গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বলি দুনিয়ায়। অনেকদিন ধরেই নাকি পর্ন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাজ কুন্দ্রা। পর্নোগ্রাফি ছবি তৈরি করার অপরাধে পুলিশ গতকাল রাত্রে রাজকে গ্রেফতার করেছে। রাজের গ্রেপ্তারের পর এবারে তার বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বলিউডের আরো দুই তারকা পুনম পান্ডে এবং শার্লিন চোপড়া। তাদের অভিযোগ, শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রা নাকি তাদের পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে এসেছিলেন। যদিও, মহারাষ্ট্র সাইবার সেলের কাছে এই তথ্য বহুদিন আগেই দিয়েছিলেন এই দুই অভিনেত্রী।
তারা দুজনে অভিযোগ জানিয়েছেন, শুধুমাত্র রাজ কুন্দ্রা একা নন আরো অনেকে রয়েছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে সঙ্গে যুক্ত যাদের ব্যাপারে এখনো কেউ তেমন কিছু জানেনা। কিন্তু রাজ কুন্দ্রা ছিলেন এদের সকলের মাস্টারমাইন্ড বা মূল ষড়যন্ত্রকারী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে এই অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সোমবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পরে সোমবার রাত্রে বেলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাজ কুন্দ্রা যে এই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সেই নিয়ে যথেষ্ট প্রমাণ পুলিশের হাতে ছিল এবং এই কারণেই রাজকে গ্রেপ্তার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ।
তার গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে শার্লিন চোপড়া এবং পুনাম পান্ডে বলেছেন, বহু আগে থেকেই তারা রাজের প্রজেক্টর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সূত্রের খবর মানলে সেই সময় এক একটি প্রজেক্ট এর জন্য রাজের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা বেতন পেতেন শার্লিন চোপড়া। ১৫ থেকে ২০টি এরকম প্রজেক্টে কাজ করেছিলেন তিনি। পুনম পান্ডের কাহিনীও কিছুটা এরকমই। দুজনেই যদিও বর্তমানে অ্যাডাল্ট কনটেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ। মাঝেমধ্যেই তাদেরকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করতে দেখা যায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী দেশের তৈরি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে এই সমস্ত এডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি করা হতো। যারা উঠতি অভিনেত্রী রয়েছেন তাদেরকে এই সমস্ত কাজের মধ্যে জড়িয়ে নিতেন রাজ কুন্দ্রা এবং তার টিম। প্রত্যেকটি প্রোজেক্টের জন্য নাকি দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা বেতন দেওয়া হতো। তারপরে বিদেশের বিভিন্ন ওটিটি প্লাটফর্মে এই ধরনের কনটেন্ট আপলোড করা হতো। সাত দিন পর নাকি সেই সমস্ত কন্টাক্ট আপনা থেকে ডিলিট হয়ে যেত। সূত্রের খবর অনুযায়ী এই সংস্থায় ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন শিল্পা শেট্টি স্বামী রাজ কুন্দ্রা। যদিও তার বিরুদ্ধে মামলা এই প্রথম নয়, ২০১৩ সালে আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডেও নাম জড়ায় রাজ কুন্দ্রার। তার টিম রাজস্থান রয়েলস এই ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ। দু’বছর নির্বাসন কাটিয়ে রাজস্থান রয়েলস আবার আইপিএল এর মূল পর্বে ফিরে এলেও রাজ কুন্দ্রাকে আর এই টুর্নামেন্টের কোথাও দেখা যায়নি।