গর্ভকালীন সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দরী ও চর্চিত অভিনেত্রী ফের উঠেছিলেন চর্চার মুখে। সেই সময় দেশ জুড়ে পক্ষে-বিপক্ষে তর্কের মধ্যেই রাজ ও তাঁর নতুন কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে পরীমণি (PoriMoni) লেখেন, ‘আমি ভাগ্যবতী যে সঠিক জীবনসঙ্গী পেয়েছি।’ কিন্তু, দুজনের বিয়ের বয়স সবে দেড় বছরের মাথায় বাজছে বিচ্ছেদের সুর। অভিনেত্রী পরীমণি বিচ্ছেদ চান তার স্বামী শরিফুল রাজের থেকে। ভক্তদের নিরাশ করে পরীমনি জানিয়ে দেন যে তিনি রাজের বউ নন। এই সম্পর্ক আর টেনে নিয়ে যেতে চান না৷ রাজ যেন যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব ডিভোর্স দেন৷
তাহলে কি হবে রাজ পরীমণি’র আদরের খুদের? এই প্রসঙ্গে পরীমনি বাংলাদেশের এক প্রথম সারির সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় জানান যে বিচ্ছেদ হওয়ার পর অবশ্যই সে (রাজ) বাচ্চা দেখতে আসতে পারবে। তবে শর্ত, তিনি অস্বাভাবিক সময় বাসায় আসলে বাচ্চাকে দেখতে দেবেন না।
নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে যে বাংলাদেশের বহুল চর্চিত অভিনেত্রী হলেন পরীমনি। সুন্দরী হওয়ার প্রত্যেকটি মাশুল তিনি দিয়েছেন। কখনো ফেঁসেছেন পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভিডিয়ো কেন্দ্র করে, কখনো জড়িয়েছেন মাদক কাণ্ডে, এমনকি জেলার ঘানি পর্যন্ত টেনেছেন পরী। কিন্তু, গোটা চিত্র পাল্টে যায় ২০২১ এর শেষের দিকে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেই ‘গুনিন’ ছবির শ্যুটিং সেটে অভিনেতা শরীফুল রাজকে গোপনে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। এরপর, ২০২২-এর জানুয়ারি মাসে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এনে গোপন বিয়ের কথা ফাঁস করেন দুজনে। পরবর্তীতে সামাজিকভাবে ফের বিয়ে সম্পন্ন করেন রাজ-পরীমনি। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন রাজের সঙ্গে একাধিক ছবি পোস্ট করে ভালোবাসা ভাগ করে নেন। অথচ, সন্তান হওয়ার পরপরই রাজের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায়।
শোনা যায়, শরিফুল রাজ ও অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের গোপন ভিডিও ক্লিপ ফাঁস হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ এর জেরেই কি বিচ্ছেদ? যদিও অভিনেত্রীর দাবি তিনি তার আগে থেকেই আলাদা থাকছেন, এবারে সরাসরি তালাক চান পরী।