Post office scheme: মাত্র ৩৪ টাকা বিনিয়োগ করলেই আপনি হয়ে যাবেন কোটিপতি, ম্যাচিওরিটিতে পেয়ে যাবেন পুরো ১৮ লাখ টাকা
এই স্কিম ভারতে এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে
বর্তমান বিশ্বে অনিশ্চয়তা এবং ঝুঁকির পরিমাণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিনিয়োগ একটি কার্যকর উপায়। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, অনেকেই কম বিনিয়োগে ভাল রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ খুঁজে পান না। কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে ভারত সরকারের ডাক বিভাগ। ভারতীয় পোস্ট অফিস এমন কিছু স্কিম তাদের গ্রাহকদের জন্য নিয়ে আসে, যেগুলো আপনাকে ভালো সুদের হার এবং ভালো রিটার্ন দিয়ে থাকে। যারা কম বিনিয়োগ করে ভালো রিটার্ন পেতে চাইছেন তাদের জন্য পোস্ট অফিস পিপিএফ স্কিম একটি আদর্শ বিকল্প হতে পারে।
পোস্ট অফিস পিপিএফ স্কিমের সুবিধা
পোস্ট অফিস পিপিএফ স্কিমের অনেক সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
১. ঝুঁকিমুক্ত:
এই প্রকল্পটি ভারত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়, তাই আপনার বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ।
২. কর ছাড়:
আপনি যদি একজন করদাতা হন, তাহলে আপনি আপনার মোট আয় থেকে এই বিনিয়োগের পরিমাণ বাদ দিতে পারবেন।
৩. দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় প্রকল্প:
এই প্রকল্পে বিনিয়োগের মেয়াদ সর্বনিম্ন ১৫ বছর। এই সময়ের মধ্যে আপনি আপনার টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।
৪. কম বিনিয়োগে ভাল রিটার্ন:
এই প্রকল্পে বর্তমানে ৭.১% বার্ষিক সুদ দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং, আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করেন, তাহলে আপনি ভাল রিটার্ন পাবেন।
পোস্ট অফিস পিপিএফ স্কিমের রিটার্ন কিরকম পাওয়া যায়?
পোস্ট অফিস পিপিএফ স্কিমের রিটার্ন নির্ভর করে আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ, বিনিয়োগের মেয়াদ এবং সুদের হারের উপর। উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনি ১৮ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন। এই ক্ষেত্রে, আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ১,৮০,০০০ টাকা। যদি সুদের হার ৭.১% থাকে, তাহলে আপনি ৩৫ বছর বয়সে ১৮ লাখ টাকা পাবেন। এই হিসাব থেকে দেখা যায় যে, পোস্ট অফিস পিপিএফ স্কিমে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করলে আপনি উল্লেখযোগ্য রিটার্ন পেতে পারেন।
পোস্ট অফিস পিপিএফ স্কিমের কিছু বিশেষ নিয়ম
– আপনি কমপক্ষে ১,০০০ টাকা দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। অর্থাৎ দৈনিক ৩৪ টাকা বিনিয়োগ করলেও আপনি এই একাউন্ট চালাতে পারবেন।
– আপনি প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন।
– বিনিয়োগের মেয়াদ সর্বনিম্ন ১৫ বছর।
– আপনি চাইলে ৫ বছর পরেও টাকা তুলতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনার টাকা কাটা যাবে।
– পোস্ট অফিস পিপিএফ স্কিমের জন্য আবেদন করতে আপনাকে নিম্নলিখিত নথিপত্র প্রয়োজন হবে:
আবেদনপত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আধার কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ। আপনি আপনার নিকটস্থ পোস্ট অফিসে গিয়ে এই স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারেন।
অতএব, পোস্ট অফিস পিপিএফ স্কিম একটি দুর্দান্ত বিকল্প তাদের জন্যই যারা কম বিনিয়োগে ভাল রিটার্ন পেতে চান এবং ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চান। এই স্কিমের সুবিধাগুলির কারণে, এটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।