Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

পোস্ট অফিসের এই স্কিমে মাত্র ১০০০-৩০০০ বিনিয়োগে পাবেন লাখো টাকা – জেনে নিন ধনী হওয়ার সহজ ফর্মুলা

Updated :  Thursday, September 11, 2025 11:34 AM
Post Office Monthly Income Scheme

আজকের দিনে যেখানে শেয়ার বাজারের ওঠানামা বা মিউচুয়াল ফান্ডের ঝুঁকি অনেককেই ভাবিয়ে তোলে, সেখানে অনেক বিনিয়োগকারী খুঁজছেন নিরাপদ বিকল্প। আর সেই খোঁজের সঠিক উত্তর হতে পারে পোস্ট অফিসের Recurring Deposit (RD) স্কিম। মাত্র ১০০ থেকেও এই স্কিমে বিনিয়োগ শুরু করা যায় এবং নিয়মিত সঞ্চয়ের মাধ্যমে কয়েক বছরের মধ্যেই তৈরি করা সম্ভব একটি বড় তহবিল।

কেন পোস্ট অফিস RD সেরা?

ডাকঘরের এই জনপ্রিয় স্কিমটি বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে ছোট সঞ্চয়কারীদের জন্য। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অঙ্ক জমা করার অভ্যাস তৈরি করে এটি। বর্তমানে এতে বার্ষিক প্রায় ৬.৭% হারে সুদ দেওয়া হয় এবং মেয়াদ ৫ বছর। অর্থাৎ, যেই অর্থ আপনি জমা করবেন তার উপর বছরে সুদ যোগ হবে এবং ৬০ মাস পূর্ণ হলে এককালীন বড় অঙ্ক পাবেন।

এছাড়াও এর অন্যতম সুবিধা হল—

  • স্থির রিটার্ন: শেয়ার বাজারের মতো ওঠানামা নেই।

  • সরকারি গ্যারান্টি: ডাকঘরের স্কিম হওয়ায় সম্পূর্ণ নিরাপদ।

  • ছোট থেকে শুরু: মাত্র ১০০ দিয়েও অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।

  • অভ্যাস গড়ে তোলা: নিয়মিত সঞ্চয়ের মানসিকতা তৈরি করে।

কত টাকা জমলে কী রিটার্ন?

১) ১০০০ মাসিক বিনিয়োগে
৫ বছরে মোট সঞ্চয় হবে ৬০,০০০। সুদসহ মেয়াদপূর্তিতে পাবেন প্রায় ৭০,৯৮৯। অর্থাৎ, শুধুমাত্র সুদেই লাভ প্রায় ₹১০,৯৮৯।

২) ₹২০০০ মাসিক বিনিয়োগে
৬০ মাসে জমা হবে ১,২০,০০০। মেয়াদ শেষে পাবেন প্রায় ১,৪২,৭৩২। লাভ হবে ২২,৭৩২।

৩) ৩০০০ মাসিক বিনিয়োগে
৫ বছরে জমা হবে ১,৮০,০০০। এর উপর সুদ যোগ হয়ে পাবেন ২,১৪,০৯৭। লাভ দাঁড়াবে ৩৪,০৯৭।

৪) ৫০০০ মাসিক বিনিয়োগে
৬০ মাসে জমা হবে ৩,০০,০০০। সুদসহ শেষ পর্যন্ত পাবেন প্রায় ৩,৫৬,৮২৮। অর্থাৎ, শুধুমাত্র সুদ থেকেই বাড়তি আয় ৫৬,৮২৮।

কাদের জন্য উপযুক্ত?

যাঁরা ঝুঁকি এড়িয়ে নিশ্চিত রিটার্ন চান, তাঁদের জন্য এটি আদর্শ। অবসর পরিকল্পনা, সন্তানের পড়াশোনার খরচ বা ভবিষ্যতের জরুরি তহবিল তৈরি—সব ক্ষেত্রেই এই স্কিম কার্যকর।

পোস্ট অফিস RD হল একেবারে ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের মাধ্যম। অল্প টাকা থেকে শুরু করেও নিশ্চিত সুদে বড় অঙ্ক গড়ে তোলা যায়। যদিও মনে রাখা দরকার, কোনও বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।