আজকাল মানুষ অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগের দিকে খেয়াল রাখছেন। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের স্কিম রয়েছে এবং তার থেকে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা রিটার্নও পাওয়া যায়। তবে বিনিয়োগের কথা উঠলেই প্রথমেই জেনে রাখা ভালো যে বিনিয়োগ মাত্রই ঝুঁকি আছে। যেই সমস্ত স্কিমে বেশি রিটার্ন থাকে সেখানে ঝুঁকির পরিমাণ বেশি। তাই ঝুঁকির ভয়ে অনেকেই পিছিয়ে পড়ে বিনিয়োগ করতে চান না। তবে এবার তাদের জন্য এক অনন্য স্কিম আনলো পোস্ট অফিস। পোস্ট অফিসের সিনিয়র সিটিজেন সেভিং স্কিম বেশ পছন্দ করে অনেক মানুষ। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল এটি অবসর গ্রহণের পর বয়স্ক ব্যক্তিদের আয়ের ব্যবস্থা করে দেয়।
পোস্ট অফিসের সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (SCSS) ভারত সরকারের একটি জনপ্রিয় সঞ্চয় প্রকল্প যা বিশেষভাবে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই স্কিমটি নিরাপদ বিনিয়োগের একটি বিকল্প হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এটি প্রবীণ নাগরিকদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম কী?
SCSS হল একটি সরকারি সমর্থিত সঞ্চয় স্কিম যা প্রবীণ নাগরিকদের উচ্চ সুদের হার এবং নিরাপত্তা প্রদান করে। এই স্কিমে বিনিয়োগ করা টাকা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জমা রাখতে হয় এবং পরিপক্কতার পরে মূলধন এবং সুদ উভয়ই ফেরত দেওয়া হয়।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের সুদ
পোস্ট অফিস সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য একটি দুর্দান্ত সঞ্চয় স্কিম অফার করে। এই স্কিমটিতে নিশ্চিত এবং সুরক্ষিত রিটার্ন পাওয়া যায়। এমনই একটি স্কিম হল সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (SCSS), যাতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের পরিমাণের উপর বার্ষিক ৮.২% হারে সুদ দেওয়া হয়। সবচেয়ে বিশেষ বিষয় হল পোস্ট অফিসের এই স্কিমের শুরু ১,০০০ টাকা থেকে করা যেতে পারে। সর্বোচ্চ বিনিয়োগের পরিমাণ ৩০ লক্ষ টাকার বেশি হবে না। অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ থেকে ৫ বছর পরে বন্ধ করা যেতে পারে। যদি কোনো কারণে অ্যাকাউন্টধারীর মৃত্যু হয়, তবে সেই তারিখ থেকে পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্টের হারে অ্যাকাউন্টে সুদের সুবিধা পাওয়া যাবে।
কি করে পাবেন ৬০ হাজার টাকা?
আপনি যদি অবসর গ্রহণের পরিকল্পনা করছেন তবে SCSS আপনার জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। এর কারণ হল বিনিয়োগের পরিমাণের উপর নিয়মিত রিটার্ন তো পাওয়া যায়ই, সাথে সাথে সেকশন 80C এর অধীনে ট্যাক্স ছাড়ের সুবিধাও পাওয়া যায়। ধরা যাক, একজন ব্যক্তি SCSS-এ ৩০ লক্ষ টাকা জমা করেন। বার্ষিক ৮.২% সুদের হারে, তিনি প্রতি বছর ২.৪৬ লক্ষ টাকা সুদ পাবেন, যা প্রতি মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে ৩ মাসে ৬০ হাজার টাকা করে পেতে পারেন আপনি। এই নিয়মিত আয় তাদের অবসরপ্রাপ্ত জীবনের আর্থিক চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।