কলকাতা: রাজ্য জুড়ে চলছে উৎসবের মরশুম। ইতিমধ্যেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব কেটে গিয়েছে। মা লক্ষ্মীর আরাধনাও শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার পালা শক্তির আরাধনা করার। সামনে আসছে আলোর উৎসব দীপাবলি। আর তারপরেই বাঙালির ঘরে ঘরে পালিত হবে ভাইফোঁটা। তাই উৎসবের সময় একটু বেশি করেই বাজারমুখী হচ্ছে বাঙালি। কিন্তু বাজার সেরে যখনই ঘরে ফেরা হচ্ছে তখনই হাত শূন্য। কারণ, বাজারে শাক-সবজি থেকে শুরু করে আলু-পেঁয়াজ সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া। আর এই ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতি আপাতত খুব একটা বদলাবে না বলেই মনে করছে ক্রেতারা।
ট্রেন বন্ধ। তাই শাক-সবজির দাম বাড়তে পারে। সেটা কিছুটা স্বাভাবিক। কিন্তু আলু-পেঁয়াজের দাম যেভাবে আকাশছোঁয়া হয়ে উঠছে, তাতে নাভিশ্বাস উঠছে বাঙালির। জ্যোতি আলু কয়েকদিন আগেও কিলো প্রতি দাম ছিল ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। যা বর্তমানে বাড়তে বাড়তে দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকায়। যদি আপনি চন্দ্রমুখী আলু খেতে চান, তাহলে আপনাকে তার জন্য ৪৫ টাকা খরচ করতেই হবে। অন্যদিকে, কিলো প্রতি পেঁয়াজের দাম যাচ্ছে কোথাও ৭০ টাকা, আবার কোথাও ৮০ টাকা। এতদিন পেঁয়াজ কাটার সময় মানুষের চোখে জল আসতো। কিন্তু এখন পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে চোখের জল বেরোচ্ছে আমজনতার।
আলুর দাম বাড়া প্রসঙ্গে এক আলু বিক্রেতা জানিয়েছেন, ‘নতুন আলু না ওঠা পর্যন্ত আলুর দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। উলটে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, অন্ধপ্রদেশ, নাসিক এবং অন্যান্য যেসব জায়গা থেকে রাজ্যে পেঁয়াজ ঢোকে, সেখান থেকে পেঁয়াজ ঢোকার পরিমাণ কমেছে। তাই পেঁয়াজ কার্যত অগ্নিমূল্য। কিন্তু ট্রেন বন্ধের কারণে শাক-সবজির দাম বাড়া যতটা যুক্তিযুক্ত, ততটাই আলু-পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া অযৌক্তিক বলে মনে করছেন কিছু ক্রেতারা। তবে সে যাই হোক, মধ্যবিত্ত বাঙালির বাজারে যেতে গেলে পকেটে বেশ টান পড়ছে, এমনটা বলাই যায়।