ঘরে বসে আবেদন করে পেয়ে যান ১.৫ লক্ষ টাকা, সরকারি প্রকল্পের ব্যাপারে জানুন বিস্তারিত
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে আপনি পেয়ে যাবেন এই বিশেষ সুবিধা
মানব জীবনের চাহিদাগুলির মধ্যে সব থেকে আগে যেগুলি থাকে সেটা হল খাদ্য, কাপড় এবং বাসস্থান। প্রথম দুটি চাহিদা কোনভাবে পূরণ করা সম্ভব হলেও বাসস্থানের চাহিদা কিন্তু পূরণ করা অতটা সহজ বিষয় নয়। এবারে এই বাসস্থানের চাহিদা আপনার খুব শীঘ্রই পূরণ হতে চলেছে। ভারত সরকার আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে একটি দুর্দান্ত প্রকল্প যার মাধ্যমে ভারতের বাসিন্দা হলে আপনার বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করবে ভারত সরকার নিজেই।
এই মুহূর্তে আমরা সকলেই জানি বিগত কয়েক বছর আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে চালু করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। বিশেষত গত কয়েক বছরের আগে ভিশন ২০২২ কর্মসূচির আওতায় গোটা দেশের মানুষের জন্য পাকা বাড়ি তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছিল ভারত সরকার। দেশের প্রতিটি কোনায় পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করেছিল একটি বিশেষ প্রকল্প। বিগত কয়েক বছর ধরে এই প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে এসেছেন ভারতের প্রান্তিক মানুষেরা। ইতিমধ্যেই এই স্বপ্নের কর্মসূচির কাজ জোর কদমে শুরু হয়েছে। স্থানীয় পুরসভা এবং পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গোটা দেশে চলছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কাজ।
আপনিও যদি নিজের বাড়ি এই প্রকল্পের আওতায় সংযুক্ত করতে চান এবং ভারত সরকারের সাহায্যের মাধ্যমে তাহলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে করতে হবে আবেদন। আবেদনের জন্য আপনাকে অত্যন্ত সহজ একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। শুধুমাত্র নিয়ম মেনে আবেদন করলেই মিলবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা টাকা। তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাকেই আবেদনের নিয়ম বিধি সম্পর্কে।
এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে এবং আবেদনকারীর বার্ষিক আয় হতে হবে ৬ লক্ষ টাকার মধ্যে। আবেদনকারীকে দেশের যেকোন স্থানে স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। অর্থাৎ আবেদনকারী যেখানে বাড়ি করতে চাইছেন সেই জায়গার নিজের মালিকানা প্রদান করতে হবে। আবেদনকারী যদি সরকারি কোন সহায়তা পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি আবেদনের যোগ্য নন। একজন গ্রাহক শুধুমাত্র একবারই আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ যদি তিনি আগে থেকে একবার এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন, তিনি আর নতুন করে পাবেন না সেই সুবিধা। অনলাইনে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীকে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, বাসস্থানের প্রমাণ পত্র, পরিবারের বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র, জমির আর্থিক মূল্যায়ন অর্থাৎ ভ্যালুয়েশনের প্রমাণ, আবেদনকারী যদি জমির মালিক না হন সে ক্ষেত্রে সেই জায়গার মালিকের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট, এবং স্ট্যাম্প পেপারে একটি এফিডেভিট জমা করতে হবে।