প্রতিবছর ফেষ্টিভ সিজন আসা মাত্রই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ঊর্ধবমুখী হতে শুরু করে। ব্যতিক্রম নয় সবজির দামও। প্রতিবছর অক্টোবর মাস থেকে নভেম্বর অব্দি আলুর দাম বেশ কিছুটা বেড়ে যায়। তবে এবারে এই দাম আগের থেকেও অনেকটাই বেশি। আম বাঙালির হেঁসেলে আগুন ধরাতে এবারে আলুর দাম একেবারেই লাগাম ছাড়া।
পুজোর আগে জ্যোতি আলু খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ৩২-৩৫ টাকা কেজি দরে। পুজো পার হতেই সেই আলুর দাম ৪০ টাকা প্রতি কেজি পৌঁছে গেছে। সেখানে চ্ন্দ্রমুখি আলুর দাম আকাশ ছুঁয়েছে। মানিকতলা থেকে মুর্শিদাবাদ বাজার আলুর দামের অগ্নিমূল্য কোথাও ব্যাতিক্রম নয়। বহরমপুর শহরের কান্দি বাসস্ট্যান্ড বাজার, স্বর্ণময়ী বাজার যেখান থেকে আলু কিনতে যায় সেখানেই দাম হবে ৪০ টাকা কেজি। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে সরকারের পক্ষ থেকে কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে আলুর দাম ২৫ টাকা কেজিতে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই দাম বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আবার কয়েকদিন যেতে যেতেই আলুর দাম বাড়তে বাড়তে ৪০ টাকাই গিয়ে থেমেছে আপাতত।
এই অবস্থা সামাল দিতে মুর্শিদাবাদ জেলায় সরকারের পক্ষ থেকে সুফল বাংলা বিপনী খোলা হয়েছে। সেই জায়গা থেকে ২৫ টাকা কিলো দরে আলু পাওয়া যাচ্ছে। স্বভাবতই প্রায় অর্ধেক দামে আলু কিনতে বিপনীগুলিতে বেশ ভিড় হচ্ছে। কিন্তু কলকাতার মত শহরে ছোট একটি এলাকাতে ৫-৬ টি বাজার থাকে। সেখানে ক্রেতার সংখ্যা বিপুল এবং প্রায় সবাই নিম্নমধ্যবিত্ত। সেখানে সরকারে বিপনী খুব একটা দেখা যায় না। এর ফলে দিনের পর দিন চড়া দামে আলু কিনতে হচ্ছে সাধারণ জনতাকে।
আলুর মত পিয়াজ কিনতেও নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। পিয়াজের দাম প্রায় ১০০ টাকা প্রতি কেজি প্রায় ছুঁই-ছুঁই। দাম নিয়ে নাস্তানাবুদ বাঙালি চেয়ে আছে কবে সরকার আলু ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করবে।