একেই বলে ‘বন্ধুত্ব’! গুলাম নবি আজাদের অবসরের সময়ে রাজ্যসভায় চোখে জল প্রধানমন্ত্রীর

নয়াদিল্লি: রাজনীতিতে (Politics) দল-বিরোধি দলের তরজা তো আছেই, সেই সঙ্গে রয়েছে নানা বন্ধুত্বের (Friendship) কাহিনি। বর্তমানে শাসক-বিরোধি যুযুধান তো দেখা যায়, কিন্তু বিরল তাঁদের বন্ধুত্বের গল্প। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী…

Avatar

নয়াদিল্লি: রাজনীতিতে (Politics) দল-বিরোধি দলের তরজা তো আছেই, সেই সঙ্গে রয়েছে নানা বন্ধুত্বের (Friendship) কাহিনি। বর্তমানে শাসক-বিরোধি যুযুধান তো দেখা যায়, কিন্তু বিরল তাঁদের বন্ধুত্বের গল্প। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল আজ, মঙ্গলবারের (Tuesday) রাজ্যসভা (Rajyasabha)। কংগ্রেস (Congress) নেতা গুলাম নবি আজাদের (Gulam Nabi Azad) রাজ্যসভা থেকে অবসর নেওয়ার সময়ে আবেগে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তিনি ধরে রাখতে পারলেন না চোখের জল। কথা বলতে বলতে গলা বুজে এল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”গুলাম নবি আজাদ কেবল নিজের দলের কথা ভাবতেন না। তিনি সমানভাবে দেশ ও রাজ্যসভার প্রতিও চিন্তা করতেন।”

প্রতিদিন এমন দৃশ্য দেখা যায় না। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যসভায় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সেই বিরল ছবি দেখা গেল। বন্ধু আজাদ তাঁর ভবিষ্যতেরও সঙ্গী। ভোট রাজনীতিতে প্রবেশের সময় থেকেই নবির সঙ্গে মোদীর আলাপ। আর বর্ষীয়ান এই বন্ধুত্ব অটুট রাখার জন্য দায়িত্ববন্ধ প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস নেতার কথা বলতে গিয়ে গলা বুজে আসছিল মোদীর। বিদায়ী ভাষণে গুজরাতের দুবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আবেগপ্রবণ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন সন্ত্রাসী হামলার কারণে গুজরাতের লোকেরা কাশ্মীরে আটকে ছিল তখন নবি আজাদের প্রচেষ্টা এবং শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টা আমি কখনই ভুলব না। গোলাম নবিজি ক্রমাগত খোঁজখবর নিচ্ছিলেন, তিনি এতটাই উদ্বিগ্ন ছিলেন যেন আটকে থাকা ব্যক্তিরা তাঁর নিজের পরিবারের সদস্য। ”

নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “পদ হোক, অফিস হোক, ক্ষমতা হোক, কীভাবে এগুলি পরিচালনা করা যায়, গোলাম নবি আজাদের কাছ থেকে একজনকে শিখতে হবে। আমি তাঁকে সত্যিকারের বন্ধু হিসাবে মনে করব।”

মোদী আরও বলেন, যে ব্যক্তি গোলাম নবি আজাদকে রাজ্যসভায় বিরোধী দল নেতার জায়গা নিয়েছিল তাঁর বর্ষীয়ান নেতার কাজের মানের সঙ্গে করতে অনেক মেহনত করতে হয়েছে। অবসর গ্রহণকারী রাজ্যসভার সাংসদকে বিদায় দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “… কারণ তিনি কেবল তাঁর দলই নয় দেশ ও পার্লামেন্ট নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিলেন।”