উত্তরপ্রদেশ: হাথরস কান্ড নিয়ে যেভাবে প্রথম থেকে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেস তথা প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ও মহাসচিব প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা, তা যথেষ্ট রাজনৈতিক মহলের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু তাই নয়, একজন নির্ভীক, লড়াকু নেত্রীর পরিচয় দিয়েছেন এক্ষেত্রে প্রিয়াঙ্কা। বৃহস্পতিবার প্রথমেই দাদার সঙ্গে হাথরসে যাওয়ার পথে বাধা পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গ্রেফতার করেছিল রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকে। কিন্তু তাতেও নতি স্বীকার করেননি ভাই-বোন। শনিবার ফের হাথরসের পথে রওনা দেন দু’জনে। গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। পাশে দাদা রাহুল, আর পেছনে কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। তারপর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রশাসন অনুমোদন দিলে সেখানে গিয়ে লাঠিচার্জের মধ্যে পড়তে হয় কংগ্রেসকে। এমনকি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রিয়াঙ্কার কুর্তি ধরে টেনেছেন এই ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। এর পাশাপাশি আরও একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশের হাত থেকে এক কর্মীকে বাঁচিয়েছেন সোনিয়া-কন্যা। আর তার এই সামনে থেকে লড়াকু মনোভাব কংগ্রেসকে আরও সাহস যোগাচ্ছে, এমনটা বলাই যায়।
মুহূর্তের মধ্যেই এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। শুধু ওই কংগ্রেস কর্মীকে বাঁচানোই নয়, তাকে লাঠির হাত থেকে বাঁচিয়ে রাস্তার ধারে একটি জায়গায় বসানো এবং তার সামনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন প্রিয়াঙ্কা, যাতে তার ওপর পুনরায় কোনওরকম আক্রমণ না হতে পারে। এরপর দলের ক্যাডাররা ছুটে এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। এই পুরো ঘটনাটা এটাই প্রমাণ করে যে, নির্ভীক এবং লড়াকু মনোভাব থাকলে লড়াইটা করা যায়। যা লড়েছেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর এই সহানুভূতিশীল মনোভাবের জন্য খুশি তাঁর অনুরাগীরা।