বাংলা সিরিয়ালবিনোদন

পরনে বেনারসি, মাথায় সিঁদুর! অবশেষে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন তৃণার প্রিয় পুটুপিসি

Advertisement

স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘খড়কুটো’-এর টিআরপি এই মুহূর্তে যথেষ্ট ভালো। সৌজন্য ও গুনগুনের প্রেমকাহিনী পৌঁছে গেছে ঘরে ঘরে। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সৌজন্য ও ধনী পরিবারের মেয়ে গুনগুনের বিয়ের দৃশ্য দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছে। অপরদিকে কিছুদিন আগেই এই সিরিয়ালে পুটুপিসি ও সুকল‍্যাণের বিয়ে নিয়ে শুরু হয়েছিল বেজায় ঝামেলা। পুটুপিসি ও সুকল‍্যাণের বিয়ের স্বপ্ন প্রায় ভেস্তে যাচ্ছিল দেবলীনার আত্মহত্যার চেষ্টার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই বিয়ের কেসের হাল ধরেছিল মুখোপাধ্যায় পরিবারের হুল্লোড় গ‍্যাং। ফলে তারা পেতেছিল ফাঁদ। তাদের এই প্ল্যান ক্লিক করে কিনা তা দেখতেই গুনগুন অ্যান্ড টিম ছদ্মবেশে পৌঁছে গিয়েছিল রেস্টুরেন্টে। এই সময় গুনগুন পরে নিয়েছিল বোরখা যাতে তাকে কেউ চিনতে না পারে।

অবশেষে হুল্লোড় গ‍্যাং-এর জয় হয়েছে। তারা সমস্যার সমাধান করেছে এবং পুটুপিসির সঙ্গে সুকল‍্যাণের সংসার পাতার স্বপ্ন সফল করেছে। ইতিমধ‍্যে লাল বেনারসী পরে, মাথায় শোলার টোপর পরে বিয়ের কনের সাজে ভাইরাল হয়েছেন পুটুপিসি। টিম ‘খড়কুটো’ পুটুপিসির বিয়ের ছবি শেয়ার করে ক্যাপশন দিয়ে লিখেছে, পুটুপিসিকে অপূর্ব সুন্দরী লাগছিল বিয়ের সাজে। পুটুপিসির চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহিনী সেনগুপ্ত (Sohini sengupta)।

তবে পরপর পাঁচ বার টেলিভিশনের সমস্ত রেকর্ড ব্রেক করে নাম্বার ওয়ানে নিজের টিআরপি ধরে রেখেছে ‘খড়কুটো’। গত সপ্তাহেই পূর্ণ হয়েছে ‘খড়কুটো’-র 200 পর্ব। তার উপর এই মুহূর্তে ‘খড়কুটো’-র টিআরপি 9.9 পয়েন্ট। 9.5 পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ‘মিঠাই’। 8.9 পেয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে ‘কৃষ্ণকলি’। পরপর দুই সপ্তাহ 8.5 পেয়ে চার নম্বরেই রইল ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’। 8. 4 পেয়ে পঞ্চম স্থানে রইল ‘শ্রীময়ী’। ক্রমশ জমে উঠছে স্টার জলসা বনাম জি বাংলার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

‘খড়কুটো’-র গ্রহনযোগ্যতার কারণে ‘খড়কুটো’-র হিন্দি রিমেক করার কথা ভাবছে সিরিয়ালটির প্রযোজনা সংস্থা ‘ম্যাজিক মোমেন্টস’। ‘ম্যাজিক মোমেন্টস’-এর কর্ণধার শৈবাল ব্যানার্জী (Shaibal Banerjee) ও লীনা গাঙ্গুলি (Leena Ganguly) খুব শীঘ্রই মুম্বই পাড়ি দিচ্ছেন ‘খড়কুটো’-র হিন্দি রিমেক তৈরী করার জন্য। মুম্বইতে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শুরু হতে চলেছে ‘খড়কুটো’-এর হিন্দি রিমেকের প্রি-প্রোডাকশন। প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শেষ হতে অন্তত তিন-চার মাস লাগবে বলে জানিয়েছেন লীনা।

লীনা বলেছেন, গুনগুন ও সৌজন্য-র ভূমিকায় হিন্দিভাষী নতুন বাঙালি প্রতিভা তাঁর পছন্দ। তবে মুম্বইয়ের বাঙালি ছেলেমেয়েদের নিয়ে কাজ করতে চান তিনি। লীনা জানিয়েছেন, ‘খড়কুটো’ ও ‘ইচ্ছেনদী’-র হিন্দি রিমেক করা হবে।

এর আগে ‘শ্রীময়ী’, ‘মোহর’, ‘কে আপন কে পর’-এর হিন্দি রিমেক করা হয়েছে। তবে হিন্দি রিমেক করতে গিয়ে চিত্রনাট্যও কিছুটা পরিবর্তিত করতে হয়। ‘পটলকুমার গানওয়ালা’ ও ‘ভুতু’-র হিন্দি রিমেকের সময় এই ধরনের পরিবর্তন হয়েছিল। তবে নিত্যনতুন হিন্দি কনসেপ্টের ভিড়ে ‘খড়কুটো’-এর হিন্দি রিমেক কতটা জায়গা করে নিতে পারে, এখন সেটাই দেখার।

Related Articles

Back to top button