দেশনিউজ

পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, পড়ে গিয়ে হাতে চোট, হাথরস যাওয়ার পথে গ্রেফতার রাহুল গান্ধী

Advertisement

উত্তরপ্রদেশ: হাথরস কান্ড নিয়ে গোটা দেশ সোচ্চার। ইতিমধ্যেই হস্তক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ, বৃহস্পতিবার সকালেই নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন কংগ্রেসের মহাসচিব প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার যাওয়ার খবর পেয়ে হাথরসের জেলাশাসকের তরফ থেকে 144 ধারা জারি করা হয়েছিল গোটা এলাকায়। এমনকি প্রত্যেকটি প্রবেশপথ সিল করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে বাইরের কেউ কোনওরকমভাবে জেলার মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে। আর হাথরসে যাওয়ার পথেই গ্রেফতার করা হল রাহুল গান্ধীকে।

হাথরসের পথে যাওয়ার সময় গ্রেটার নয়ডার মুখে আটকানো হয় রাহুলের কনভয়। তারপর যমুনানগরে প্রবেশ করামাত্র তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কার্যত ধাক্কা মেরে রাহুল গান্ধীকে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। ফলে হাতে চোট পান সনিয়া-পুত্র। এমন সময় পুলিশের সঙ্গে কথোপকথনে রাহুল জানতে চান, তাঁকে কেন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না? বলা হয় 144 ধারা জারি রয়েছে। তখন রাহুল গান্ধী বলেন যে, তিনি একা যেতে চান। আর একা গেলে কোনওভাবেই 144 ধারা ভঙ্গ করা হয় না। কোনওভাবেই রাহুল গান্ধীকে পুলিশ আটকাতে না পেরে অবশেষে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

পুলিশের তরফ থেকে গ্রেফতারের কথা ঘোষণা করা হলে রাহুল গান্ধী জানতে চান কিসের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে? তিনি এমনটাও বলেন যে, কোন ধারার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তা ওখানে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমদের বুঝিয়ে বলতে। তখন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁর জন্য এই করোনা পরিস্থিতিতে একটা ভিড় তৈরি হয়েছে। এর ফলে রাহুল গান্ধীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

এই সমস্ত ঘটনা নিয়ে রাহুল কার্যত টুইটে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি একা যেতে চেয়েছিলাম? একা গেলে 144 ধারা ভঙ্গ করা হয় না। দুঃখের সময় প্রিয়জনদের একা রাখা হয় না। আসলে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে আমাদের দেখা করাটা উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ভয় পাওয়াচ্ছে। এত ভয় পাবেন না মুখ্যমন্ত্রী।’ রাহুলের গ্রেফতারের ঘটনায় কার্যত তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল, এমনটা বলাই যায়।

 

Related Articles

Back to top button