উত্তরপ্রদেশ: হাথরস কান্ডের ঘটনায় গোটা দেশ কার্যত সোচ্চার হয়ে উঠেছে। দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি করেছে নির্যাতিতা তরুণীর পরিবার সহ গোটা দেশ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কেন এখনও চুপচাপ হাত পা গুটিয়ে বসে রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার, এই প্রশ্নও উঠছে রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই গতকাল, বুধবার হাথরস কান্ডে হস্তক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তবে বিরোধী শিবিরে এই ঘটনার সমালোচনা এখনও বন্ধ হয়নি। আজ, বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে উত্তরপ্রদেশের দিকে রওনা হয়েছেন কংগ্রেসের মহাসচিব প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী।
তবে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ, ইতিমধ্যেই হাথরসের জেলাশাসক জানিয়েছেন যে, গোটা জেলায় 144 ধারা জারি করা হয়েছে। সিল করে দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি অনুপ্রবেশ পথ। তাতে বাইরের কেউই ওই জেলায় প্রবেশ করতে পারবে না বলে দাবি করেছেন তিনি। এমতাবস্থায় রাহুল-প্রিয়াঙ্কা কীভাবে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
তবে শুধু নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করাই নয়, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে কার্যত তুলোধনা করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, ‘বিজেপির স্লোগান এখন ‘বেটি বাচাও’ নয়, বরং ‘ তথ্য লুকোও, গদী বাঁচাও’ এই শ্লোগান হযেছে। তাই এই হাথরস কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের অত্যাচার দিন দিন বেড়ে চলেছে। সরকারের অপদার্থতা কার্যত চোখের সামনে। একটা মেয়ে বেঁচে থাকতে প্রাপ্য সম্মানটুকু পেল না। এমনকি তার মৃতদেহ উত্তরপ্রদেশ সরকারের অপদার্থতার শিকার হয়েছে। এই ঘটনা লজ্জায়, অপমানের।’ এভাবেই কড়া ভাষায় কার্যত গেরুয়া শিবির তথা যোগী আদিত্যনাথ সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন রাহুল। আর আজ রাহুল-প্রিয়াঙ্কা সেখানে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রওনা হয়ে গিয়েছেন। সেখানে গেলে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়, এখন সেটাই দেখার।