বলেছিলেন, ভবিষ্যত তিনি কয়েকদিনের মধ্যেই ভেবে নেবেন৷ তারপরই তিনি নিজেকে সরিয়ে নেন আন্দোলন এবং জনসমাবেশ থেকে। তাকে সরিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে। তারপর ই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। তার বক্তব্য ছিল, “৪০ বছর ধরে বিজেপির সেবা করেছি। তারপর এটাই তো প্রাপ্য ছিল আমার। আজকাল দেখছি পুরোনো পার্টির কর্মীদের থেকে নতুন যারা তৃণমূল থেকে পার্টিতে আসছেন, তাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আর আমরা যারা সবসময় বিজেপি কে সাপোর্ট করে এলাম, তারা এখন ব্রাত্য।” হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। কথা হচ্ছে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাকে নিয়ে। তিনি ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি৷ এইবার তাকে দেখা গেল পদের জন্য শাহের সাথে বৈঠক করতে।
সম্প্রতি নিমন্ত্রণ রক্ষার জন্য এবং রাজনৈতিক দলীয় কার্য সম্পূর্ণ করতে দুইদিনের জন্য বঙ্গে আসেন অমিত শাহ। তখনই রাহুল সিনহাকে দেখা গেছে আবার আগের মতো। প্রতি বৈঠক প্রতি দলীয় কার্যকলাপে ছিলেন তিনি। যেখানেই শাহ সেখানেই দেখা গেল সিনহাকে। সর্বত্রই সশরীরে উপস্থিত ছিলেন রাহুল। অবশেষে দুই দিন পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন তিনি। সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, সেই বৈঠকে রাহুল ক্ষোভের সাথে শাহকে বলেন, রাজ্যের আন্দোলন এবং সমাবেশ সক্রিয় করতে তাকে একটি পদ দেওয়া হক। কেন্দ্রীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় বড্ড কোণঠাসা হয়ে পরেছেন সিনহা। আরও জানা গিয়েছে যে পদের জন্য এইদিন অমিত শাহের কাছে অনুরোধ ও করেছেন রাহুল সিনহা।
তবে রাহুলকে শাহ স্পষ্ট ভাবে জানান যে সবাই একসাথে কাজ করলেই সরকারে আসতে পারবে গেরুয়া শিবির। এখানে ভাগ রাখলে চলবেনা। এখন যদি পাঁচ মাস পরিশ্রম করেন তবেই পঞ্চাশ বছর রাজত্ব করতে পারবে বিজেপি। তখন সবাই একটা ভালো যায়গা পাবেন। সেই ভেবে মনের সব ভেদাভেদ মিটিয়ে সোনার বাংলা গড়তে সাহায্য করুন।