রাজ্যে কবে থাকতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হবে সেই নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রবল চাপানউতোর চলছে। অবশেষে কাল, সোমবার রেল ও রাজ্য উভয় পক্ষই বাংলায় কবে থেকে লোকাল ট্রেন চালানো যাবে সেই নিয়ে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আধিকারিকরা। শনিবার রাতে স্বরাষ্ট্রসচিবের চিঠির পরই তড়িঘড়ি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয় রেল-রাজ্য।
আগামীকালের রেল-রাজ্য বৈঠকে হয়তো লোকাল ট্রেন কি করে এবং কবে থেকে চালানো হবে সেই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। প্রাথমিকভাবে কত লোকাল ট্রেন চালানো হবে এবং করোনার সংক্রমণ এর হাত থেকে রক্ষা পেতে কি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে মুম্বাইয়ে শুধুমাত্র জরুরী পরিষেবার সাথে যুক্ত মানুষরা লোকাল ট্রেন ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে এখন প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে বাংলাতেও কি একই সিদ্ধান্ত নেবে রেল-রাজ্য।
সোমবারের রেল-রাজ্য বৈঠকে রেলের তরফ থেকে দুই রেলের এজিএম, চিফ অপারেশন ম্যানেজার, চিফ সিকিউরিটি কমিশনার সহ রেল আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। অন্যদিকে রাজ্যের তরফে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেইসাথে রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ অধিকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে রেল সূত্রে খবর, তারা সমস্ত ধরনের প্রস্তুতি নিয়েই কালকের বৈঠকে আসবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্পেশাল ট্রেনগুলিতে অ-রেলকর্মীদের জোর করে উঠে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্টেশনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। শুক্রবারের পর শনিবারও হাওড়া স্টেশন চত্বরে সাধারণ যাত্রীরা স্পেশাল ট্রেনে ওঠা নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা হাওড়ার ক্যাব স্ট্যান্ড রোড দিয়ে স্টেশনে ঢুকতে চেষ্টা করলে আরপিএফ বাধা দেয়। তারপরই আরপিএফ এর সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা। অবশ্য রেলের এরকম আচরণ রাজ্য সরকার একদমই ভাল চোখে নেয়নি।