বন্যায় বেহাল অবস্থা হায়দ্রাবাদ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের। হায়দরাবাদ এবং রঙ্গারেড্ডি জেলার থেকে ইতিমধ্যে এক হাজারের বেশি জলবন্দিকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফের টিম। আপাতত হলুদ সতর্কতা জারি রেখে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সমস্ত সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ভয়াবগ দুর্যোগে দুই রাজ্য মিলিয়ে বারো জন মারা গিয়েছেন। এদিকে রাজ্যের অবস্থা আরো খারাপ হতে চলেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হায়দ্রাবাদেরর বিপর্যস্ত জনজীবনের বেশ কিছু ছবিও ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে জল মগ্ন রাস্তার পাশাপাশি মানুষের বিপদে পড়ার বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে।এমনকি মানুষ বাড়ি থেকে বেরোতেও ভয় পাচ্ছেন। সরকার থেকে জানান হয়েছে কাজ ছাড়া বা খুব দরকার না পড়লে কেউ যেন বাড়ি থেকে এক দম না বের হন। এই নিয়ে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের পরিস্থিতির উপর তিনি নজর রাখছেন। গভীর নিম্নচাপের জেরে অত্যন্ত খারাপ অবস্থা অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার। জানানো হয়েছে আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে, ইতিমধ্যেই হাই অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে।
রাতভর বৃষ্টির জেরে পাঁচিল ভেঙে ১০টি ঘর ভেঙেছে। সব মিলিয়ে মারা গিয়েছেন প্রায় তিরিশ জন। অন্য দিকে হায়দরাবাদের বানজারা হিলস এলাকায় বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে বছর ৪৯-এর এক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে সব আবার কবে স্বাভাবিক হবে এবং আরো কত জন ক্ষতির মুখে পড়বেন সি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের।