বলিউড দুনিয়াতে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়, যা হল স্টারকিড। তারকাদের ছেলে মেয়ে বা পরিচিতরা বেশিরভাগ সময় এই গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড এর দুনিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে থাকেন। তবে সবসময় যে তারকার সন্তান বড় তারকা হবেন, এমনটা নয়। যারা মোটামুটি বলিউডের পুরনো সিনেমা দেখেছেন, তাঁরা সকলেই অভিজ্ঞ সম্মানীয় অভিনেতা রাজ কুমারকে চেনেন। তাঁর ডায়লগ বলার ভঙ্গি মন জয় করে নিয়েছিল গোটা ভারতবাসীর। এখনো যদি আপনি চিনতে না পারেন, তাহলে একটি শব্দ এই মহান অভিনেতাকে আপনাকে চিনিয়ে দেবে। রাজ কুমারের ‘জানি’ ডায়লগ এখনো অব্দি সমানভাবে জনপ্রিয়।
বলি জগতে এই অভিনেতার জনপ্রিয়তা ব্যাপক ছিল। তাঁর অন্য স্টাইলে টানা টানা কথায় ডায়লগ ডেলিভারি তখনকার সিনেমার স্পেশালিটি ছিল বটে। ১৯৫৭ সালের অস্কার নমিনেশন পাওয়া সিনেমা মাদার ইন্ডিয়ায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি চার দশক ধরে মোট ৭০ টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই মহান অভিনেতা গলায় ক্যান্সারের কারণ খুব কম বয়সেই মারা যান। এই অভিনেতার তিন সন্তান। ছেলে পুরুরাজ কুমার মেয়ের নাম বাস্তবিকতা পণ্ডিত ও অন্য মেয়ে পাণিনি রাজকুমার।
রাজ কুমার বলিউড জগতে ব্যাপক সাফল্য পেলেও, তাঁর ছেলে মেয়ে অভিনয় করলেও খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। ছেলে পুরুরাজ কুমার বেশ কয়েকটি সিনেমাতে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করলেও মেয়ে তেমন একটা জনপ্রিয়তা পেতে পারেনি। জনপ্রিয় অভিনেতা শাহিদ কাপুরের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে প্রথম লাইমলাইটে আসেন তিনি। ২০১২ সালে শাহিদ কাপুর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছিল। তবে অভিনয় ক্যারিয়ারে সাফল্য না পেলেও সৌন্দর্যের দিক থেকে অনেক বলিউড অভিনেত্রীকে বোল্ড আউট করতে পারেন রাজ কুমারের মেয়ে।
বাস্তবিকতা পণ্ডিত ১৯৯৬ সালে ‘আয়সে ভি ক্যাইয়া জলদি হে’ সিনেমায় একটি ছোট্ট অংশ অভিনয় করেছিলেন। তার ১০ বছর পর প্রধান অভিনেত্রী হিসাবে ‘এইট: সানি’ ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে কোনো সিনেমাতেই ভালো অভিনয় দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেননি তিনি। এখন গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের উঠতি তারকাদের মাঝে তিনি যেন হারিয়ে গেছেন।