সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা মানেই টেলিভিশিনের পর্দা খুললেই “দেশের মাটি” ধারাবাহিক দেখা চাই চাই। শিকড়ের অমোঘ টানের কথাই বলতে শুরু হয় দেশের মাটি ধারাবাহিক। এই গল্পের শুরু স্বরুপনগরের এমটি গ্রামের। এই গল্পের মূল উপজীব্য হল যৌথ পরিবারের গল্প । এই গল্পে পরিবারের সদস্যের সাথে অনেক জুটি আছে। যেমন নোয়া আর কিয়ান, রাজা আর মাম্পি, উজ্জয়িনী আর ডোডো ।
যত দিন যাচ্ছে জনপ্রিয়তার শিখরে উঠেছে ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিক।নোয়া কিয়ানের জুটির থেকে রাজা মাম্পির জুটি এখন বেশি বিখ্যাত। এই ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্র কিয়ান ও নোয়া হলেও দর্শকদের বড় কাছের আর প্রিয় জুটি হল রাজা ও মাম্পি। রাজা মাম্পি ওরফে রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় আর রুকমা রায়ের টক মিষ্টি ঝাল প্রেম কাহিনী সকলের বেশ পছন্দ। তবে বেশ কিছুদিন আগে রাজা আর মাম্পির জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছিল শুধু কি রাজা মাম্পির দর্শকদের মনেও ঝড় এসেছিল ।
এছাড়াও দর্শকদের বহুদিন ধরে ইচ্ছে ছিল রাজা মাম্পির সব রাগ অভিমান ভুলে দুজনে এক হোক। রাজার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়ুক মাম্পি। দর্শকদের সে প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে গত দুই সপ্তাহে। অবশেষে সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে রাজার সঙ্গে বিয়ে হয় মাম্পি। জমিয়ে আর হৈ-হুল্লোড় করে বৌভাত আর রিসেপশন হয়েছে। তবে দুজনের ফুলশয্যা শুরু হতেই বিপত্তি। ফের চটেছেন নেট-নাগরিকদের মধ্যে কিছু মনীষীরা। ফুলশয্যা এপিসোড নিয়ে জমিয়ে সমালোচনা করেছে সামাজিক মাধ্যমে।
কেউ কেউ লিখেই বসলেন ‘এটা একটা পারিবারিক ধারাবাহিক’, ‘মায়ের পাশে বসে আর দেখতে পারলাম না’, ‘এত বাড়াবাড়ি করার কী খুব দরকার ছিল’র মতো একাধিক কমেন্ট চোখে পড়েছে। যদিও রাম্পির অনুগামীরা এই সমালোচনা দেখে চুপ থাকলেননা। এই সব মুনিদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন আগেই। তবে এই ব্যপারে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেল রাজা অর্থাৎ অভিনেতা রাহুলকে।
‘দেশের মাটি’তে তাঁর ও রুকমার এই অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শ্যুটিং নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাহুল জানান, তিনি এই সিকুয়েন্স শ্যুটিং এর সময় নিজের সহ অভিনেত্রী রুকমাকে দুটো চুমু দিয়েছেন। আর দুটো চুমুই আবার গালে। আর রুকমা তাঁকে কপালে একটি চুমু খেয়েছে। বাকি পুরো অভিনয়টা তাঁরা করছেন চোখ দিয়ে। এবার এই একটা দৃশ্যেও যদি দর্শক যৌনতা খুঁজে পান, সেটাকে দুজন নিজেদের অভিনয় ক্ষমতার তারিফ হিসেবেই ধরছেন তাঁরা। সঙ্গে, রাহুল সেই সব সমালোচকদের কাছে এটাও প্রশ্ন রাখেন ফুলশয্যার দৃশ্যে এরকম কিছুই তো থাকবে, বিয়ে হওয়ার পর ফুলশয্যার দৃশ্যে নিশ্চয়ই কোনো কীর্তনের দেখানো হবে না।
অন্যদিকে মাম্পি ওরফে রুকমা জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করেন এই সমালোচনা গুলো হল তাঁদের কেরিয়ারের একটা অঙ্গ। তাই এই জিনসগুলোকে বেশি গায়ে মাখলে এক্কেবারেই চলবে না। নিজের কাজটা শুধু ভালোমতো করে যেতে হবে। আপাতত এদের সংসার কেমন হয় এটাই এখন দেখার