সম্প্রতি অভিনেত্রী রজনী চান্ডি (Rajani chandi) তাঁর কয়েকটি জিনস পরিহিত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। ছবিগুলি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রজনীকে বিদ্রুপ করা শুরু করেন নেটিজেনদের একাংশ। রজনীর অপরাধ হলো তিনি 69 বছর বয়সে জিনস পরেছেন। কেরিয়ারের কারণে কিছুদিন আগে রজনী একটি ফটোশুট করেন। সেই ছবিগুলিতে রজনীর পরনে ছিল ডিপ নেক সাদা রঙের টপ, ক্রাশড অর্থাৎ ছেঁড়া স্টাইলের ডেনিম জিনস ও ডেনিম জ্যাকেট। রজনীর ঠোঁটে ছিল ‘রাস্ট রেড’ লিপস্টিক। তাঁকে যথেষ্ট আকর্ষণীয় লাগছিল এই লুকে। কিন্তু তাঁকে অনর্থক ট্রোল করা শুরু হয়ে যায় জিনস পরার কারণে।
নেটিজেনদের একাংশ বিরক্তি প্রকাশ করেন রজনীর জিনস পরিহিত লুক দেখে। তাঁদের বক্তব্য এতদিন শাড়ি পরে আসার পর রজনী হঠাৎ এই বয়সে এসে কেন জিনস পরতে গেলেন। রজনী তাঁদের ট্রোলের যোগ্য জবাব দিয়ে বলেন, বাঁচার অধিকার সকলের আছে। তবে রজনীর এই নতুন লুকের প্রশংসাও করেছেন অনেকে।
একবিংশ শতকেও মেয়েদের চরিত্র বিচার করা হয় তাঁদের পোশাক দেখে। কিন্তু সমাজের তথাকথিত ভদ্র মানুষরা হয়তো জানেন না, ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত ব্যক্তির তেরোটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে পোশাকের অধিকার। ব্যক্তি অর্থে এখানে মহিলাদেরও বলা হয়েছে। তাহলে আজও একজন মহিলা ধর্ষিতা হলে তাঁর পোশাকের দিকে কেন আঙুল ওঠে? কেন একজন বয়স্কা অভিনেত্রী অথবা সাধারণ নারীকে জবাবদিহি করতে হয় জিনস পরার জন্য? এর মূল কারণ হলো ট্র্যাডিশন যা কখনও কখনও সমাজকে ভুল পথে চালিত করে। সুতরাং রজনী আজ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জবাব দিলেও সেই দিন দূরে নেই যেদিন মহিলারা আইনি পথে এই ধরনের ট্রোলের মোকাবিলা করবেন।