৯০ এর দশকের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাখি গুলজার তাঁর অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে গোটা দেশবাসীর মন জয় করে নিয়েছিলেন একসময়। সুপারহিট ছবি করণ অর্জুনে দুর্গা সিং, দুর্জন সিংহের চোখে চোখ রেখে বলেছিলেন, “মেরে বেটে আয়েঙ্গে, মেরে কারণ অর্জুন আয়েঙ্গে।” এই বিখ্যাত ছবির সংলাপে দর্শকের চোখে আজ অব্দি জল আসে। এই চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন রাখি গুলজার। তবে এই অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৬৭ সালে বাংলা ছবি “বধূবরণ” দিয়ে। সেই রাখি গুলজারের মেয়ে আজকালকার দিনে বেশ জনপ্রিয়। মায়ের মত অভিনেত্রী না হলেও ফিল্ম দুনিয়ার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তিনি।
রাখি গুলজার ১৯৬৭ এর পর একের পর এক হিট ফিল্ম করেছেন। সেরা অভিনেত্রী এবং সেরা সহ অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনীতও হন রাখি। ব্যক্তিগত জীবন হিসেবে রাখি প্রথমে বাঙালি সাংবাদিক ও ফিল্ম ডিরেক্টর অজয় বিশ্বাসকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশি বছর টেকেনি। এরপর রাখি ভারতের অত্যন্ত জনপ্রিয় লিরিসিস্ট ও ডিরেক্টর গুলজারের সাথে বিবাহ করেন। তাঁদেরই সন্তান মেঘনা গুলজার, যাঁকে নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন।
১৯৭৩ সালে রাখির ঘর আলো করে জন্ম নেয় মেঘনা গুলজার। এখন এই মেঘনা লুকের দিক থেকে টেক্কা দিতে পারেন তাবড় তাবড় বলিউড অভিনেত্রীদের। তবে মেঘনা কোনো অভিনেত্রী নয়। তিনি ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন ফিল্ম এর লেখক। বর্তমানে মেঘনা গুলজার একাধারে লেখক, ফিল্ম ডিরেক্টর এবং ফিল্ম প্রডিউসার। তাঁর ক্যারিয়ারে একাধিকবার উত্থান-পতন থাকলেও, সে কঠোর পরিশ্রম করে আজকাল বেশ সাফল্য পাচ্ছেন।
মেঘনা গুলজারের ‘তালওয়ার’ সিনেমাটি বেস্ট ডিরেক্টর তালিকায় নমিনেশন পেয়েছিল। এছাড়া ২০১৮ সালে মেঘনা তিনটি দেশাত্মবোধক সিনেমা ডিরেক্ট করেছিলো যার মধ্যে ‘রাজি’ ছিল বলি জগতের অন্যতম জনপ্রিয় সিনেমা। এই সিনেমার জন্য বেশ কয়েকটি সম্মানীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ২০২০ সালে দীপিকা পাডুকোনের ‘ছপাক’ সিনেমা পরিচালনা করে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া মেঘনার ঝুঁলিতে বেস্ট পরিচালনার জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও রয়েছে।