একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত মোর্চা আর বিজেপিকে অনেক পিছনে ফেলে ২০০ এর বেশি আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সরকার। এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মসনদে তৃতীয়বারের জন্য বসলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেবেন। এরপর আগামীকাল এবিধায়ক হিসেবে শপথ নেবেন তৃণমূলের বিধানসভার জয়ী প্রার্থীরা। বিজেপির অন্যান বিধায়করাও শপথ নিলেন। তবে এবারে শপথ নিতে দেখা যাবেনা একটি বাম মুখও।
এই প্রথম সিপিএমের কোনও সদস্য ছাড়াই বাংলার সরকার গঠন হতে চলেছে। আর তা নিয়ে চলছে রাজ্যের নানান জায়গায় নানান মন কষাকষি। এবারে সিপিএম কংগ্রেসের আর আব্বাস সিদ্দিকির সাথে জোট বেঁধে নির্বাচনের লড়াই করতে নামেন। তবে কোনো লাভ হয়নি। এবার অভিনেতা জয়জিৎ এই সিপিএমের এই বেহাল অবস্থা নিয়ে কটাক্ষের সুরে বাঁধলেন। নিজের ফেসবুক পেজে সিপিএমের নাম না করেই কিছু তির্যক মন্তব্য করলেন।
লিখেছেন, ‘অনেক তো জোট হলো। এবার একলা চলো রে নীতি নিন। নতুন জেনারেশনকে জায়গা ছাড়ুন পুরোপুরি ভাবে। বাংলার কথা বলুন। সোমালিয়াটা খেটে খাওয়া মানুষরা ঠিক জানে না।’ এরপর অভিনেতার এই পোস্ট দেখে অনেক নেটিজেন অভিনেতার সুরে সুর মেলালেন তবে নিজের দলের এহেন অপমান অনেকেই সহ্য করতে পারেনি। এই বামভক্তের মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও। জয়জিতের এই পোস্ট দেখে চুপ না থেকে কমেন্ট বক্সে লিখলেন, ‘সোমালিয়া নিয়ে কেউ কিছু বলেনি। তাঁরা বাংলার কথাই বলেছিল। মানুষ যদি কানে তুলো গুঁজে রেখে খেলতেই ব্যস্ত থাকে তার দায় কী করে নেওয়া সম্ভব?’
উল্লেখ্য, ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের কুরুক্ষেত্রে বামেদের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন শ্রীলেখা নিজে। অসুস্থ শরীর নিয়েই রোদ ফাঁটা গরমে কখনো নন্দীগ্রাম তো কখনো সিঙ্গুরে গিয়েছেন ভোট প্রচারে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেও সকলকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। তবে এইবার ও উঠে দাঁড়াতে পারলেননা। তবে এই হার তিনি মেনে নিতে পারেননি । রবিবার দিন নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখে বসলেন, ‘চুরির কাছে শিক্ষা হেরে গেল। ভিক্ষা-ভাতার কাছে কর্মসংস্থান হেরে গেল’।