বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ‘ব্যাড বয়’ তকমা যদি কেও পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি হলেন জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। তবে শত বিতর্ক মাঝেও, শুধুমাত্র অভিনয় দক্ষতার দমে লাখ লাখ ফ্যান রয়েছে এই অভিনেতার। তাই তো যখন সঞ্জয় দত্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখন চোখে জল চলে এসেছিল অনেকের। আবার তিনি চর্চায় আসেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের জন্য। আশির দশকে ড্রাগে আসক্ত হয়ে পড়া থেকে শুরু করে বেআইনি অস্ত্র রাখার জন্য সঞ্জুবাবাকে জেলেও যেতে হয়েছিল। তবে অসাধারণ অভিনয় দক্ষতার সুবাদে গোটা দেশের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা কম নয়। তিনি অভিনয় ক্যারিয়ারে একাধিক হিট হিন্দি ফিল্ম ভারতীয়দের উপহার দিয়েছেন।
এই সঞ্জয় দত্ত তিনবার বিয়ে করেছেন। তাঁর তৃতীয় ও বর্তমান স্ত্রীয়ের নাম মান্যতা দত্ত। সঞ্জয় ও মান্যতার মিষ্টি প্রেমের সম্পর্ক কারোর অজানা নয়। এখন তারা বেশ সুখেই সংসার করছে। জানিয়ে রাখা ভাল, সঞ্জুবাবা তার প্রথম স্ত্রী মারা গেলে কিছুদিনের মধ্যেই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু সেই মেয়ের সাথে একদমই বনিবনা হয়নি তার। তাই দ্বিতীয় বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। অবশেষে সঞ্জয় দত্তের মন জয় করে নেন মান্যতা। তবে মান্যতার সাথে সুখের সংসার করলেও অভিনেতার আগে অনেক সম্পর্ক ছিল।
বিয়ের আগে সম্পর্কের কথা বললে প্রত্যেকের কাছেই ধারণা হয় খুব জোর একজন কি দুজন প্রাক্তন থাকবে হয়তো। কিন্তু সঞ্জয় দত্তের ব্যক্তিগত জীবনে উঁকি মারলে অবাক হয়ে যাবেন আপনিও। অভিনেতার বায়োপিক, সঞ্জু তে দেখানো হয়েছিল যে সঞ্জয় দত্তের গোটা জীবনে ৩৫০ টির বেশি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এটি কোনো ভ্রান্ত কথা নয়। অভিনেতা নিজেই এমন কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
জানা যায়, সঞ্জয় দত্ত প্রতিটি মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিতেন এবং তাকে নিজের বান্ধবী বানিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতেন। তারপর তাকে বেডরুমে নিয়ে যেতেন ও সেখানে মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতেন। প্রত্যেক জনের সাথেই সঞ্জয় দত্ত একই কাজ করতেন। তার মুগ্ধতা দিয়ে তিনি সবাইকে পাগল করে তোলার ক্ষমতা রাখতেন।