অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও এভারগ্রিন স্টাইল সমার্থক। সম্প্রতি ডিসেম্বরের হিমেল আমেজে ঋতুপর্ণা নিজের একটি ফটো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন। এই ফটোতে ঋতুপর্ণার পরনে ছিল একটি গাউন যাতে মিশেল ছিল বহু রঙের, পায়ে ছিল স্টিলেটো। খোলা চুল সাজানো ছিল একটি বড় ফুলে। সব মিলিয়ে ঋতুপর্ণা ছিলেন বরাবরের মতই অনন্যা। ঋতুপর্ণার এই ফটোটি যথেষ্ট ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনদের কথা নাই বা ভাবলেন ঋতু। বিশেষত, সেই নেটিজেনদের কথা, যাঁরা খাজুরাহো দেখতে যান, অথচ মেয়েদের পরিধেয় নিয়ে সমালোচনা করেন।
1989 সালে দূরদর্শনে বাংলা ধারাবাহিক ‘শ্বেত কপোত’-এর মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন ঋতুপর্ণা। এই সিরিয়ালের পর ঋতুপর্ণা ফিল্মে অভিনয়ের জন্য চেষ্টা করতে থাকেন। তাঁকে সেই সুযোগ করে দেন পরিচালক প্রভাত রায়। 1992 সালে প্রভাত রায়ের পরিচালনায় ‘শ্বেত পাথরের থালা’ ফিল্মে একটি ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে নজর কাড়েন ঋতুপর্ণা।
একসময় চিরঞ্জিত, প্রসেনজিৎ, তাপস পাল-এর মত নায়কদের সঙ্গে নায়িকা হিসাবে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা। তবে এই সবকটি ফিল্ম ছিল স্টিরিওটাইপ এবং নায়কপ্রধান। ঋতুপর্ণাকে নায়িকা থেকে অভিনেত্রীতে রূপান্তরিত করেন পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। তিনি 1997 সালে ‘দহন’ ফিল্মে কাস্ট করেন ঋতুপর্ণাকে। আপামর বাঙালি এই ফিল্মের মাধ্যমে আবিষ্কার করেন শক্তিশালী অভিনেত্রী ঋতুপর্ণাকে। এই ফিল্মে নববিবাহিতা, ধর্ষিতা মেয়ে রোমিতার চরিত্রে অভিনয় করে ঋতুপর্ণার ঝুলিতে আসে জাতীয় অভিনেত্রীর পুরস্কার। এরপর অপর্ণা সেন পরিচালিত ‘পারমিতার একদিন’ ও বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’-এর মাধ্যমে ঋতুপর্ণা নিজের স্টিরিওটাইপ লুক ভেঙে বেরিয়ে আসেন। এছাড়াও বাংলাদেশের কিছু ফিল্ম ও বলিউডের কয়েকটি হিন্দি ফিল্মে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা। কয়েক বছর আগে ঋতুপর্ণা ‘প্রিজম এন্টারটেনমেন্ট’ নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা তৈরি করেছেন।