বড় জয় ভারতের, এনকাউন্টারে নিহত হিজবুল কমান্ডার রিয়াজ নাইকু

এবার জঙ্গি খতমে বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। বুধবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপোরায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে খতম করল হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান রিয়াজ নাইকুকে। মঙ্গলবার রাতে বিশেষ সূত্রের মাধ্যমে জানা…

Avatar

এবার জঙ্গি খতমে বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। বুধবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপোরায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে খতম করল হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান রিয়াজ নাইকুকে। মঙ্গলবার রাতে বিশেষ সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, রিয়াজ নাইকু দক্ষিণ কাশ্মীরে পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপোরাতে নিজের বাড়িতে তাঁর অসুস্থ মা কে দেখতে আসছেন। এরপরই সেনাবাহিনী সেখানে আগাম পরিকল্পনা মতো অভিযান চালায়।

গতকাল রাতেই শুরু হয় তুমুল গুলির লড়াই সেনাবাহিনীও জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে। আর এরপরই পুরো অঞ্চল সিল করে দিয়েছে সেনাবাহিনী যাতে সুযোগ কাজে লাগিয়ে পালাতে সচেষ্ট না হয় জঙ্গি। এদিন বুধবার জানানো হয়েছে, একজন জঙ্গি খতম হয়েছে। এরপর পুরো বাড়িকে ঘিরে ফেলে ৫৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেল , সিআরপিএফ ও জম্মু কাশ্মীরের পুলিশের স্পেশাল টিম। আগে থেকে সেনাবাহিনীর কাছে রিয়াজ নাইকুর আসার আগাম খবর ছিল। সেই মতো ভারতীয় সেনারা গতকাল রাতে অভিযান চালায়।

রিয়াজ নাইকু ছিলেন পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপোরার বাসিন্দা। সুদর্শন ও কথায় মৃদুভাষী, স্বভাবে শান্ত। গ্রামের একটি স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন রিয়াজ নাইকু।এছাড়া তিনি গোলাপের ছবি আঁকতে পারদর্শী ছিলেন। তিনি যে একদিন জঙ্গি দলে নাম লেখাবেন তা কে জানতো। ২০১৬ সালের ৮ই জুলাই বুরাহান ওয়ানির মৃত্যুর পর জঙ্গি গোষ্ঠীর কমান্ডার হিসেবে রিয়াজকে নিযুক্ত করা হয়। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে জঙ্গি গোষ্ঠীর দলে ভিড়ে যান রিয়াজ নাইকু।

রিয়াজকে খতম করার পিছনে অনেকটাই লাভ রয়েছে সেনাবাহিনীর। জঙ্গি গোষ্ঠীর জনপ্রিয় কমান্ডার বুরহান ওয়ানি উপত্যকার তরুণ মুখদের বুরহান ভুলিয়ে নিয়ে যেত হিজবুলে। আর বুরহান সুদর্শন, শিক্ষিত ও সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হওয়ার কারনে তা কাজের পক্ষে আরও সহজ হয়। এরপর বুরহানের মৃত্যুর পর সেই জায়গায় আসে সবজার। এরপর সবজারের সেনাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হলে কমান্ডার হিসেবে রিয়াজকে নিযুক্ত করা হয়। উপত্যকায় জঙ্গি নাশকতায় রিয়াজের নাম রয়েছে। যদিও আগে এই জঙ্গিকে ধরতে ফাঁদ পাতা হলেও সে ফাঁদে ধরা দেননি রিয়াজ। তাই এবার রিয়াজের মৃত্যু হলে জম্মু কাশ্মীরের জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে তা অনেক বড়ো ধাক্কা হবে।