ভারতীয় তেলের বাজারে দ্রুত গতিতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে সৌদি আরবের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ রাশিয়া। এতদিন পর্যন্ত মার্কেটে সবথেকে বেশি প্রভাব ছিল সৌদি আরবের। তবে অতি সম্প্রতি রাশিয়াও এই তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে সৌদি এবং ওপেক দেশগুলিকে পিছনে ফেলতে শুরু করেছে। আপনাকে জানিয়ে রাখি, ২০২১ সাল পর্যন্ত সৌদি আরব ভারতের তেল সরবরাহে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। আর এই সময়ে রাশিয়া এই তালিকায় ছিল নবম স্থানে।
তবে গত কয়েক মাসে ভারতের তেলের বাজারে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে তেলের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের পাশাপাশি ওপেক দেশগুলিকে পিছনে ফেলতে শুরু করেছে রাশিয়া। তবে এর কারণ হলো রাশিয়ার সস্তা তেল। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভারতের তেল বাজারে রাশিয়া একটি প্রধান রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আবিভূত হতে শুরু করেছে। তবে প্রধান বিষয়টি হলো, ভারতে এই মুহূর্তে বিশ্বের বৃহত্তম তৈল আমদানিকারক দেশ।
ব্লুমবারগের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ত্রিমাসিকে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সৌদি আরবের তেলের থেকে কম দামে রাশিয়া থেকে তেল কিনতে শুরু করেছে ভারত সরকার। একই সময়ে ২০২২ সালের মে মাসে রাশিয়ান তেলের উপরে ভারতকে ব্যারেল প্রতি ১৯ ডলার পর্যন্ত ছাড় দেওয়া শুরু করা হয়েছে। ২০২২ সালের জুন মাসের রাশিয়া সৌদি আরবকে পিছনে ফেলে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈল রপ্তানি কারক দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। তবে তৈল সরবরাহের দিক থেকে ইরাক এখনো পর্যন্ত রয়েছে এক নম্বরে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, ভারতে কিন্তু কোন ভাবেই খুব একটা বেশি অপরিশোধিত তেল উৎপন্ন হয় না। এই কারণে শক্তির চাহিদা মেটানোর জন্য আমদানির উপরই নির্ভর করতে হয় ভারতকে। সারা দেশের মোট তেলের ৮৫% বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় ভারতকে। এই মুহূর্তে ভারত রাশিয়া থেকে খুব কম দামে তেল কিনতে শুরু করেছে। যার কারণে ভারত কিছুটা অর্থনৈতিক স্বস্তি পেতে শুরু করেছে। দেশের অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিগত কয়েকদিনে।