দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রদীপ সরকার। কিডনির সমস্যাতেও ভুগছিলেন পরিচালক। সূত্রের খবর ডায়ালিসিস চলছিল তার। শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরিচালকের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল চারটের সময় সান্তাক্রুজে তার দেহ দাহ করা হয়েছে। এদিন সকালে পরিচালক হানসাল মেহতার টুইট থেকেই প্রদীপ সরকারের মৃত্যু সংবাদ মিলেছিল। পরিচালকের একটি ছবি শেয়ার করে তিনি ক্যাপশনে তার আঁত্মার শান্তি কামনা করেছিলেন। এই টুইট নজরে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা চলচ্চিত্র জগৎ-এ। কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তনুজা কন্যা কাজলও।
জানা গেছে, পরিচালক প্রদীপ সরকারকে একেবারে নিজের বাবার মতো দেখতেন কাজল। আর সেই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই তার মৃত্যুর খবরে একেবারে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। অজয় দেবগনকে সাথে নিয়েই পরিচালককে শেষবারের মতো দেখতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এদিন অজয় দেবগন নিজের স্ত্রীকে সামলাতেই ব্যস্ত ছিলেন। সেই ঝলক অবশ্য নজর এড়ায়নি পাপারাজিৎদের। এই মুহূর্তে নিজের বাবার সমান প্রদীপ সরকারের মৃত্যুর খবরে গোটা চলচ্চিত্র জগৎ-এর পাশাপাশি শোকোস্তব্ধ কাজলসহ তার গোটা পরিবার।
একটা সময়ে অ্যাডের দুনিয়ায় চুটিয়ে কাজ করেছেন পরিচালক। এরপর ২০০৫ সালে প্রথম সাইফ আলি খান, বিদ্যা বালন ও সঞ্জয় দত্তকে নিয়ে তৈরি করেছিলেন ‘পরিণীতা’, যা দর্শকদের উপর একেবারে এক আলাদা প্রভাব ফেলেছিল। উল্লেখ্য এই ছবির সূত্র ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচালক হিসেবেই নিজের যাত্রা শুরু করেছিলেন প্রদীপ সরকার। ‘পরিণীতা’র সাফল্যের পর ‘লাগা চুনরি মে দাগ’ ছবিটি দর্শকদের উপহার দিয়েছিলেন পরিচালক। যেখানে রানি মুখার্জ্জী সহ ছিলেন কঙ্কনা সেন শর্মা, জয়া বচ্চন, অনুপম খেরের মতো একাধিক তারকারা। এরপর ২০১০’এ ‘লাফাঙ্গে পারিন্দে’ পরিচালনা করেছিলেন। ২০১৪’তে তার পরিচালিত ‘মারদানি’ ছবি দিয়েই পর্দায় কামব্যাক করেছিলেন রানি মুখার্জ্জী। তার পরিচালিত ছবিতে বারবারই দেখা মিলেছে বাঙালি তারকাদের।